পূর্ব বর্ধমান জেলার সমস্ত নার্সিংহোমের পার্কিং এলাকা এবং আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সঠিক না থাকলে তাদের পুনর্নবীকরণ করা যাবে না। দ্রুততার সঙ্গে এই ব্যবস্থা কার্যকর করার উপর জোর দিলেন বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বাররা। বুধবার পূর্ব বর্ধমানে হাউসিং, বিপর্যয় মোকাবিলা, নার্সিংহোম এবং অগ্নিনির্বাপণ এই চারটি বিষয় খতিয়ে দেখতে আসেন বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা। কমিটির চেয়ারম্যান বর্ধমানের জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝি জানিয়েছেন, এই চারটি বিষয়ই খতিয়ে দেখা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের সরকারি যে হাউসিংগুলি রয়েছে সেখানে অনেকেরই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও তাঁরা কোয়ার্টার না ছাড়ায় কোন কোন ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরই পাশাপাশি নার্সিংহোমগুলির পুনর্নবীকরণের ক্ষেত্রে তাদের আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আছে কিনা, পার্কিং ব্যবস্থা আছে কিনা প্রভৃতি সব খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও এব্যাপারে প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য চেয়ারম্যান সেখ আলহ্বাজউদ্দিন জানিয়েছেন, জেলার অনেক চালু নার্সিংহোমই অনেক পুরানো। ফলে নতুন করে তাদের পরিকাঠামো তৈরি অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। তাই পুরানোদের পুর্ননবীকরণের ক্ষেত্রে যাতে কোন সমস্যা না হয় তা দেখার আবেদন জানিয়েছেন। যদিও আধুনিক অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কার্যকর করার চেষ্টা তাঁরা করবেন। এদিন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, জেলার নদী তীরবর্তী ফ্লাড সেণ্টারগুলির কি পরিস্থিতি এবং জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়। খতিয়ে দেখা হয়েছে জেলার সাপের কামড়ে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও। এদিন এই বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন কমিটির সদস্য বিধায়ক খোকন দাস, মানগোবিন্দ অধিকারী, অভেদানন্দ থাণ্ডার, নিশীথ মালিক সহ জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম সেনগুপ্ত, মহম্মদ ইসমাইল, মিঠু মাঝি প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরাও। এদিন এই বৈঠকের পরই কমিটির সদস্যরা বর্ধমানের কয়েকটি নার্সিংহোমের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে যান।