আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে রবি চাষে এবং আগামী ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে বোরো চাষে ডিভিসি জল দেবে বলে জানালেন বর্ধমানের ডিভিশনাল কমিশনার বিজয় ভারতী। সোমবার বর্ধমান সার্কিট হাউসে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান সহ হুগলী, হাওড়া এবং বাঁকুড়া জেলার আধিকারিকদের নিয়ে ডিভিসির জল ছাড়া সংক্রান্ত বৈঠকের পর একথা জানিয়েছেন বিজয় ভারতী। এই বৈঠকে এই ৫ জেলার সেচ দফতরের আধিকারিক সহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, ডিভিসির আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা প্রমুখ।
ডিভিশনাল কমিশনার বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে রবি চাষে এবং ২৫ জানুয়ারি থেকে বোরো জল দেওয়া শুরু হবে। পঞ্চায়েত ও মাইথন বাঁধে জল যা আছে তা নিয়ে এদিন পর্যালোচনা করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বোরো চাষে পূর্ব বর্ধমান জেলায় চাষ হবে ৪৭,৫৫০ একর জমিতে। পশ্চিম বর্ধমানে ১৬৫০একর, হুগলী জেলায় ১৬ হাজার একরে এবং বাঁকুড়া জেলায় চাষ হবে ১০ হাজার একরে। হাওড়া জেলায় হবে ২৮০০ একরে চাষ। মোট ৭৮ হাজার একর। তিনি জানিয়েছেন, গতবার ৩.৩০ লক্ষ একর ফিট জল ছিল এই দুই বাঁধে। গতবছর ১.০৩ লক্ষ একরে চাষ করা গেছিল। এবছর চাষের জন্য ২৩৫ হাজার একর ফিট জল দেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, বোরোর জন্য ৫ বার ১০ দিন অন্তর জল ছাড়া হবে। এবং রবির জন্য ৩ বার দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, ৫টি জেলায় গতবারের তুলনায় এবছর ১০-১৫ একর চাষের এলাকা কমেছে। তিনি জানিয়েছেন, বোরোর পর রবি চাষে ২০ হাজার একর বর্ধমান এবং ৩৮ হাজার একর ফিট জল পাবে হুগলী জেলা। রবিতে মোট ৫০ হাজার একর ফিট জল দেওয়া হবে। এদিন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানিয়েছেন, আগামী ১ ডিসেম্বর জেলায় বৈঠকে ঠিক হবে কোন্ ক্যানেলে জল দেওয়া হবে। তারপরেই ২৬ ডিসেম্বর থেকে রবি চাষে জল ছাড়া শুরু হবে এবং বোরো চাষে জল ছাড়া হবে ২৫ জানুয়ারি থেকে, যা শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বর।