কলকাতার রাজপথ থেকে এবার জেলাতেও আন্দোলনে নামল বঞ্চিত আপার প্রাইমারী চাকরীপ্রার্থীরা। বুধবার বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনে তাঁরা এদিন বিক্ষোভও দেখালেন। এদিন আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের নোটিফিকেশন অনুসারে তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন ২০১৫ সালে। এরপর ফলাফল প্রকাশিত হয় এবং নিয়োগও হয় – যা হাইকোর্টের নির্দেশে সম্পূর্ণ বাতিলও করা হয়েছে। পরবর্তীকালে ফের নিয়োগপ্রক্রিয়া চালু করা হয়। কিন্তু সেই নিয়োগে গেজেটকে মান্যতা না দিয়ে নিয়োগ করা হচ্ছে। এদিন আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, গেজেট অনুসারে ইন্টারভিউয়ের ১৫দিন আগে পর্যন্ত যে শূন্যপদ তৈরি হয় তার ভিত্তিতেই নিয়োগ প্রক্রিয়া হওয়ার কথা। কিন্তু রাজ্য সরকার তা মানছে না। তাঁদের দাবি ইন্টারভিউয়ের ১৫দিন আগে পর্যন্ত গোটা রাজ্য জুড়ে যে শূন্যপদ তা প্রকাশ করে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা হোক।
এদিন আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা কলকাতার শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির পাদদেশে গত ১৬ জুন থেকে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে পালা করে অনশনও। এবার তাঁরা আন্দোলনকে জেলাস্তরে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন। এদিন সমস্ত জেলায় এই দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এরই পাশাপাশি এদিন আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট শূন্যপদ কত তা জানতে চেয়েছিলেন জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে। কিন্তু তিনি জানাতে চাননি। এদিন তাঁরা জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে স্মারকিলিপিও দিয়েছেন।