ভোট বড় বালাই। আর ভোটের প্রচার যে কোন সীমারেখাকেই মানে না – তার জ্বলন্ত প্রমাণ মিলল বর্ধমান ১নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুমিত কুমার শর্মার প্রচারে। একেবারে বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রিত হয়ে গিয়ে সটান নববধূকে পাশে নিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে তাঁর সমর্থনে এবং তাঁকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে গেলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহযোগী তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও। খোদ বিয়েবাড়িতে নির্বাচনী প্রচারকে ঘিরে রীতিমত হৈ হৈ পড়ে যায়। অভিনব এই উদ্যোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই গোটা শহর জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুমিত কুমার শর্মা জানিয়েছেন, ১নং ওয়ার্ডের একটি বিয়েবাড়িতে বিয়ে হচ্ছিল ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ননী শর্মার। তিনি সেই বিয়েতে নিমন্ত্রিত হয়ে গেছিলেন। এখন ভোটের সময়, প্রচারের সময়। তাই প্রচার ফেলে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে অনেকক্ষণ থাকাও তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। অথচ বন্ধুসম ননী শর্মার বিয়েতে তাঁকে যেতেই হত। কি আর করা – অবশেষে লক্ষীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথীর ব্যানার নিয়ে সটান হাজির হয়েছিলেন তিনি বিয়েবাড়িতে। তাঁকে এভাবে দেখে অনেকেই ভীষণ খুশী হন। তিনিও পাল্টা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিয়ে বাড়িতে আসা প্রায় ৩০০ জন নিমন্ত্রিতকে তিনি তাঁকে ভোট দেওয়ার আবেদনও জানালেন। শুধু তাইই নয়, একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রীর মত প্রকল্পগুলি সম্পর্কেও প্রচার করেন। সুমিত কুমার শর্মা জানিয়েছেন, প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে তিনি বিয়ে বাড়িতেই প্রচার করেছেন। আর এই প্রচার করে তিনি পেলেন বিপুল সাড়া। তিনি জানিয়েছেন, এই বিয়ের অনুষ্ঠানে সিংহভাগই ছিলেন ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাই এই সুযোগকে তিনি হাতছাড়া করতে চাননি। বর ও বউ, ননী শর্মা এবং কাজল শর্মাও তাঁর সঙ্গে সামিল হয়েছিলেন এই নজীরবিহীন ভোট প্রচারে।