জেলায় করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পুলিশের পক্ষ থেকে মাস্ক পড়ার জন্য সচেতন করা হচ্ছে, পাশাপাশি মাস্ক বিলিও করা হচ্ছে। বর্ধমান, রায়না সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় যেমন চারচাকা গাড়ির যাত্রীরা মাস্ক পড়ে আছেন কিনা দেখা হচ্ছে, তেমনই বাসে উঠে যাত্রীরা মাস্ক পড়েছেন কিনা তাও দেখছে পুলিশ। মাস্ক না পড়লে দেওয়া হচ্ছে মাস্কও।
এদিকে, বর্ধমান শহরে পুলিশের নাকা চেকিং চলার সময় দেখা গেল অসচেতনার চিত্র। বেশ কিছু মানুষকে রাস্তায় দেখা গেল মুখে মাস্ক না পরেই বের হতে। পুলিশের ধরপাকড়ে পকেট থেকে মাস্ক বের করে পরতেও দেখা গেল অনেককে। মাস্ক না পরার অভিযোগে জেলা জুড়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত ২৪ ঘন্টায় পূর্ব বর্ধমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে বেড়ে হয়েছে ৩৮১। তার মধ্যে বর্ধমান শহরেই আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৯। এদিকে, বর্ধমান মেডিকেলে ১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ১০ জন চিকিৎসক ও ৬ জন স্বাস্থ্য কর্মী। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব কুমার রায় জানিয়েছেন, ব্লকে ২০-৩০ বেডের সেফ হোম এবং মহাকুমায় ৩০-৪০ বেডের সেফ হোম প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে প্রয়োজনে যে কোন সময় থেকেই কাজে লাগাতে পারা যায়। এছাড়াও কৃষিভবন কোভিড হাসপাতালে ১০০ বেডের সেফ হোমের পাশাপাশি ১০৩টি বেড কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য রেডি আছে। তার মধ্যে ৪০ টি আইসিসিইউ বেড। এছাড়া কালনা মহাকুমা হাসপাতালে ৫০ টি জেনারেল ও ১৬ টি আইসিসিইউ এবং কাটোয়া মহাকুমা হাসপাতালে ২০ টি জেনারেল বেড রেডি আছে।
অন্যদিকে বর্ধমান মেডিকেলের সুপার তাপস কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, কোভিডে আক্রান্ত ৭ জন ও সাসপেক্টেড ৭ জন ভর্তি আছেন হাসপাতালে। মেডিকেলে ১২০টি জেনারেল বেড, ২০ টি সিসিইউ ও এইচডিইউ বেড, ২০টি গাইনি ও ২০ টি শিশু কোভিড বেড আছে। এছাড়াও আরও ৬০ টি বেড রেডি করা আছে প্রয়োজনে ব্যবহার করার জন্য।