করোনার জেরে প্রায় ২ বছর স্কুল বন্ধ থাকার পর করোনার প্রকোপ কমতেই ফের খুলেছে স্কুলের দরজা। কিন্তু স্কুলের দরজা খুললেও, শিক্ষকরা হাজির হলেও প্রত্যাশামত ছাত্রছাত্রীরা এখনও স্কুলে আসছে না। বাড়ছে শিক্ষক মহলে উদ্বিগ্নতা। আর সেই উদ্বিগ্নতা দূর করতে সোমবার বর্ধমান উত্তর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক, বর্ধমান ২নং ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার পরিদর্শন করলেন শক্তিগড়ের সফদার হাসমি উচ্চ বিদ্যালয়। এদিন বিডিও সুবর্ণা মজুমদার জানিয়েছেন, করোনার ভীতিতে এখনও ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে ঠিকমত আসছে না। গোটা বিষয়টি তাঁরা এদিন খতিয়ে দেখেছেন। স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। দেখা গেছে, নবম থেকে একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ভীতি এখনও কাটেনি। একইসঙ্গে অভিভাবকদের মধ্যেও ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভীতি রয়েছে। তাই এদিন তাঁরা বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতেও যান। ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে আসার জন্য এদিন অভিভাবকদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেন।
বিধায়ক নিশীথ মালিক জানিয়েছেন, করোনার ভীতি এখনও দূর হয়নি। তাই ছাত্রছাত্রী সহ বাড়ির অভিভাবকদের বোঝানো হয়েছে। করোনার সবরকম বিধিকে মেনেই যাতে ছেলেমেয়েরা স্কুলে আসে সেজন্য অভিভাবকদের কাছে এদিন তাঁরা আবেদনও জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, করেনার দ্বিতীয় ঢেউ মিটতে না মিটতেই ফের ওমিক্রন নিয়ে উদ্বিগ্নতা বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ফলে সব নিয়ম মেনে স্কুলের দরজা খুললেও এখনও সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকে এই ভীতি দূর করা যায়নি। বিশেষত, এখনও ১৮ বছরের নীচে কোন ভ্যাকসিন শুরুই হয়নি। ফলে তা নিয়েও অভিভাবক মহলে দুশ্চিন্তা রয়েছে। এমতবস্থায় খোদ বিধায়ক থেকে বিডিওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত স্কুলে আসার জন্য আবেদন জানানোয় ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবক মহলেও চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। এদিন কয়েকজন ছাত্রছাত্রী জানিয়েছে, বিডিও এবং বিধায়করা এসে স্কুলে যাওয়ার জন্য বলে গেছেন। তাঁরা বলেছেন, করোনা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। তবে সাবধানে থাকতে হবে। এরপর থেকে স্কুলে যাব।