বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালের ছয় তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতি ছেলে। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ছয় তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন ছোট ছেলে অশোক রুইদাস। মৃত অশোক রুইদাস বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজের ইংরাজি অনার্সের তৃতীয়বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় কার্তিক রুইদাসের (৪৯)। বিগত কয়েকদিন ধরে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বর্ধমানের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর অবস্থার অবনতি ঘটার কারণে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাবার মৃত্যুর খবর আসতেই মৃত কার্তিক রুইদাসের ছোট ছেলে অশোক রইদাস (২২) তাঁর দাদা অলোক রুইদাসকে খবরটা জানান। মা ভেঙে পড়বে বলে মাকে তাঁরা কিছুই জানাইনি। সাড়ে নটা নাগাদ একটা ফোন আসতেই বেরিয়ে যান অশোক। এরপর দাদা বারে বারে ফোন করলেও ভাই ফোন কেটে দেন। অবশেষে অশোক তাঁর দাদার ফোনে একটি ম্যাসেজ পাঠান ‘বাবার মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী। ঘটনার আধঘন্টা পর হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছে তাঁর দাদা জানতে পারেন ভাই ছয় তলা বিল্ডিং -এর উপর থেকে ঝাঁপ দেওয়ায় মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বাবা ও ছেলের মৃত দেহ খণ্ডঘোষের তোড়কোণার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাঁদের শেষকৃত্য হয়। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।