সোস্যাল মিডিয়ায় মহিলার অশ্লীল ছবি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটল বর্ধমান শহরের ২৬ নং ওয়ার্ডের গোদা খোন্দেকার পাড়ায়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের রাতেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। এই ঘটনায় দু’পক্ষই বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। গোদা এলাকার তৃণমূল নেতা খোন্দেকার ফজলুর রহমান ওরফে সবুজ মাস্টার জানিয়েছেন, গত ২৮ জুন গোদা এলাকার এক যুবক সোস্যাল মিডিয়ায় এক মহিলার অশ্লীল ছবি পোস্ট করেন। বিষয়টি নিয়ে সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এরপর পুলিশ এবং এলাকার বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে বিষয়টির মীমাংসা হয়। নাসির আলি নামে অভিযুক্ত ওই যুবক পুলিশের কাছে মুচলেকাও দেয়।
এদিকে, সেই ঘটনার জেরে সোমবার রাতে ধুন্ধুমার বাধে গোদা এলাকায়। সবুজ মাস্টার অভিযোগ করেছেন, ওই যুবকের বিরুদ্ধে যাঁরা অভিযোগ করেন সোমবার রাতে তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা চালানো হয়। আমির আলি মল্লিকের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তাঁদের হামলায় গুরুতর জখম হন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা যুবর সদস্য খোন্দেকার সাহিদুর রহমান, সেখ সাদ্দাম, ফতেমা বিবি, ফুলসোনা খাতুন, বালি খাতুন, সেখ সূরজ, সেখ ফিরোজ প্রমুখরা।
এদিকে, এই হামলার খবর পেয়ে পাল্টা বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনও ব্যাপক হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অপর নেতা কাঞ্চন কাজী জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি মোটেও যুক্ত নয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনীতি জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, সোমবার রাতে সবুজ মাস্টার এবং বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন উপপুরপতি খোন্দেকার মহম্মদ সাহিদুল্লাহ প্রমুখদের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। বাড়ি ভাঙচুর, গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। এদিকে, সোমবার রাতে দু’পক্ষের এই সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোন গ্রেফতারের খবর নেই।