কাটমানি না নিলে পার্টি চলবে কী করে? – এমন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন পূর্ব বর্ধমানের গলসি-২ ব্লকের গোহগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান রিঙ্কু ঘোষ। অভিযোগ, কাটমানি নিতে পঞ্চায়েতের টেন্ডার অনলাইনে না করে অফলাইনে করার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছেন প্রধান। যা নিয়ে উপপ্রধান বিমল ভক্ত সহ দলের কয়েকজন সদস্য প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বর্ধমানে এক কর্মসূচিতে এসে সাফ জানিয়েছেন, কেউ এমন বলে থাকলে বা করে থাকলে জেলাস্তরেই এর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেবে। তাঁর কাছে অভিযোগ গেলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
কাটমানি নিয়ে এবারের নির্বাচনী প্রচারে সবথেকে বেশী সরব হয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু এবার তৃণমূলের অন্দরেই কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে দল। পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু ঘোষ পরিস্কার জানিয়ে দেন, পঞ্চায়েতের টেন্ডার অফলাইনে করা হলে সেখান থেকে আসা টাকায় দলের খরচা চলবে। দলের বিভিন্ন খরচের জন্য টাকার প্রয়োজন। সেইজন্যই টেন্ডার অনলাইনের পরিবর্তে অফলাইনে করার কথাই ভাবা হয়েছিল।
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিমল ভক্ত বলেন, ‘অনলাইনে টেন্ডার করার প্রক্রিয়া শুরু করেও কেন সেই নোটিস টাঙানো হলনা সেটা জানতে চেয়ে আমরা জানতে পারি প্রধান অফলাইনে টেন্ডার ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানকে আমরা জিজ্ঞাসা করি, কেন এটা করা হল? উনি বলছেন, অফলাইনে করতে হবে এটা পার্টির কিছু নেতা ওনাকে নির্দেশ দিয়েছেন। অফলাইনে করলে সেই টাকা কিছু লোকের পকেটে ঢুকবে। পার্টির ও সরকারের ভাবমূর্তির স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই আমরা চেয়েছি এটা অনলাইনে করা হোক। সেটা নিয়েই অশান্তি ও গন্ডগোল। কিছু ঠিকাদার বিনা প্রতিযোগিতায় বরাত পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে কাটমানি নেওয়া হবে। আর সেই টাকাতেই কিছু নেতার পকেটে ভরবে। আমরা চাই পঞ্চায়েতের কাজ স্বচ্ছতার সাথে হোক।’