নির্বাচনের আগেই রক্তাক্ত হল বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র। বলি হল নিষ্পাপ ৭ বছরের এক শিশু। ৯ বছরের আরও এক শিশুর জীবনমরণ লড়াই চলছে। মৃত শিশুর নাম সেখ আফরোজ (৭)। বাড়ি রসিকপুর এলাকায়। আহত শিশুর নাম সেখ ইব্রাহিম (৯), বাড়ি মেমারি এলাকায়। ভয়াবহ এই ঘটনায় গোটা শহর জুড়েই তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। রাত পোহালেই পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রথম তথা রাজ্যের পঞ্চম দফার ভোটের মনোনয়ন পত্র দাখিল শুরু হচ্ছে। জেলায় পৌঁছে গেছে আধা সামরিক বাহিনীও। চলছে রুট মার্চও। আর এই আবহের মাঝেই সোমবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বর্ধমান শহরের রসিকপুর এলাকা। কিভাবে এলো এই বোমা, কোথা থেকে এলো, কারা এই বোমা এলাকায় রাখলো তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান জেলা পুলিশ। পাশাপাশি শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজাও। যদিও প্রকাশ্যে এখনই এই বিষয় নিয়ে কেউই মুখ খোলেনি। জেলা পুলিশের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছেন।

জানা গেছে, বোমা ফাটার পর সেখ আফরোজোর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। আফরোজের সঙ্গে খেলা করছিল সেখ ইব্রাহিম। বোমার আঘাতে আশঙ্কাজনকভাবে সেও জখম হয়। এলাকার বাসিন্দারাই তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। জানা গেছে, ইব্রাহিমের বাড়ি মেমারিতে। সে মামার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে রসিকপুর যুব ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সামনে পৌরসভার জলের কলের পাশে একটি উঁচু ঘেরা জায়গা থেকে সেখ আফরোজ মাটি নিচ্ছিল। সময় মাটির নিচে বলের মত কোন বস্তু তার হাতে আসে। সেটিকে বল মনে করে মাটিতে ফেলতেই বিকট আওয়াজে এলাকা কেঁপে ওঠে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যায় আফরোজ। ছিটকে পড়ে শেখ ইব্রাহিম। কেউ কিছু বোঝার আগেই এই ঘটনা ঘটে যাওয়ায় গোটা এলাকা জুড়ে তীব্র আতংক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় এলাকাবাসী ছুটে আসেন বাচ্চা দুটিকে উদ্ধার করতে। তাদের উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে গেলে আফরোজকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন শেখ ইব্রাহিম। এই ঘটনার পরই গোটা এলাকায় তীব্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একইসঙ্গে গোটা শহর জুড়েই তীব্র আতংক ছড়িয়েছে।

Like Us On Facebook