আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের কালনা রোডের ধারে জেলা কৃষি খামারের স্থায়ী ‘মাটিতীর্থ কৃষিকথা’ প্রাঙ্গণে অষ্টম মাটি উৎসবের উদ্বোধন করতে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতে আর কয়েকটা দিন। তাই রীতিমত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এদিনই সার্কিট হাউসে বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। একইসঙ্গে এদিন বর্ধমান ভবনেও জেলার তৃণমূল নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, ৯ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচী নিয়ে বুধবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হতে চলেছে। তারপরেই তাঁর কর্মসূচি ঘোষিত হবে। প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, ওইদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালনাতে একটি জনসভা রয়েছে দুপুর ১২টা নাগাদ। সেই জনসভা সেরেই তিনি বর্ধমানের এই মাটি উৎসবের উদ্বোধন করতে আসবেন দুপুর প্রায় ২ টো নাগাদ। প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, এবছর কোভিড জনিত কারণে কৃষক সম্মান যা বিভিন্ন ব্লক থেকে কৃষকদের কৃষিকাজের গুণগত মানকে সামনে রেখে তাঁদের বাছাই করা হয় এবং মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সম্মানিত করেন – এবারে সেই কর্মসূচি থাকছে না। যদিও কয়েকজন কৃষককে আলাদাভাবেই সম্মানিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছরই এই মাটি উৎসব প্রাঙ্গণ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করে থাকেন। সম্ভবত এবার তা থাকছে না। যদিও জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়েই এই কৃষি খামার প্রাঙ্গণে কৃষি যন্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ছাত্র ও ছাত্রী আবাসের উদ্বোধন হবে। এছাড়াও বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অংশ এই খামারে রয়েছে তারও বর্ধিত অংশের উদ্বোধন করবেন তিনি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, যেহেতু অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই মাটি উৎসবের আয়োজন করতে হচ্ছে, হাতে সময় না পাওয়ায় অন্যান্যবারের তুলনায় এবার মেলা প্রাঙ্গণে যে বিভিন্ন ধরণের স্টলের দেখা মেলে তা নাও থাকতে পারে। তবে শেষ মূহূর্তে অনেকটাই বদলে যেতে পারে পরিকল্পনা। জানা গেছে, কৃষি ও কৃষক সংক্রান্ত সমস্ত স্টল ও অন্যান্যবারের মত আলোচনা সভা, প্রদর্শনী প্রভৃতি সমস্ত কিছুই থাকছে।