দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে খুন করে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন স্বামী। অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে সূত্রের খবর। আজ, বুধবার তাঁকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে কাজোড়া গ্রামের হাজরা পাড়ায়। মৃতার নাম আইভি হাজরা রায়(৩৭)। অভিযুক্তের নাম বিক্রম রায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উখড়া গ্রামের সুভাষ পাড়ার বাসিন্দা বিক্রম বাবু খাঁন্দরার সরকারি প্রতিবন্ধী কেন্দ্রে শিক্ষকতার কাজ করেন। সেখানেই বিবাহিত বিক্রমবাবুর সাথে আইভিদেবীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উখরায় বিক্রমবাবুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও ছেলে থাকে। স্থানীয় একটি হাইস্কুলে বিক্রমবাবুর স্ত্রী পার্টটাইম শিক্ষকতা করেন। অন্যদিকে, আইভিদেবীর সঙ্গেও তিনি অবৈধ সম্পর্কে জড়ান। মাস আটেক আগে আইভিদেবীকে তিনি বিয়ে করেন বলে মৃতের পরিবারের দাবি। বিক্রমবাবু দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারটি তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কাছে গোপন রাখেন। বিয়ের পর আইভিদেবী কাজোড়ায় বাপের বাড়িতে থাকতেন। বিক্রমবাবু প্রায়ই সেখানে আসা-যাওয়া করতেন। অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার দুপুরেও বিক্রমবাবু কাজোরায় আইভিদেবীর বাড়ি যান। সেই সময় আইভিদেবী ছাড়াও বাড়িতে ছিলেন তাঁর ঠাকুমা মায়ারানী হাজরা। সেখানেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে বিক্রমবাবু আইভিদেবীর উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গিয়ে আহত হন মায়ারানী হাজরা।
অভিযোগ, প্রথমে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করার পর আইভিদেবীর দেহটি বিক্রমবাবু পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে অন্ডাল থানার পুলিশ। ঠাকুমা মায়ারানী হাজরার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে উখরার বাড়ি থেকে বিক্রমবাবুকে পুলিশ আটক করে। জেরায় বিক্রমবাবু আইভিদেবীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। আজ, বুধবার অভিযুক্তকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে চাওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এদিকে খুনের ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। আইভিদেবীর পরিবার পরিজন সহ প্রতিবেশীরা অভিযুক্ত বিক্রমের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।