বুলবুলের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির মূখে পড়লেন পূর্ব বর্ধমান জেলার চাষীরা। দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টি এবং তার সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষীরা। যদিও কৃষি দপ্তর থেকে এখনও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। জেলা কৃষি আধিকারিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জেলার প্রতিটি ব্লকেই কৃষি দফতরের উদ্যোগে সার্ভে চলছে। এখনও রিপোর্ট এসে পৌঁছায়নি।
অন্যদিকে, কার্যত পাকা ধানে মই-এর মুখে চাষীরা। কারণ আর কয়েকদিন পর থেকেই ধান কাটার কাজ শুরু হওয়ার কথা। তার আগে টানা বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ায় পাকা ধানের গাছ জমিতে নুইয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জলে ডুবে রয়েছে পাকা ধানের গাছ। ফলে মাটিতে নুইয়ে পড়া সেই ধান আর ঘরে তুলতে পারবেন না বলে আশঙ্কা চাষীদের। ব্যপক ক্ষতির আশঙ্কা ভাতাড়, রায়না, খন্ডঘোষ, বর্ধমান ১ ও বর্ধমান ২ এর চাষীরা। ধান রোপণের সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং জলাধারে জল কম থাকায় অনেক চাষীকেই অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সাবমার্সিবলের জলে চাষ করতে হয়েছে। ফলন ভালো হলেও বুলবুলের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে সেই ধান নষ্ট হতে বসেছে। আবার কোথাও জমি থেকে জল নেমে গেলে কিছুটা ফসল পাওয়ার আাশা থাকলেও তা মেশিনে কাটা যাবে না। দিনমজুর দিয়ে ফসল কাটাতে হবে। ফলে খরচ বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন চাষীরা। তাই মাথায় হাত চাষীদের।