দিল্লি, হায়দরাবাদের পরে অন্ডাল থেকে শুরু হয়েছে মুম্বাই রুটের বিমান পরিষেবা। আগস্টে শুরু হবে চেন্নাই রুটে উড়ান। এরই মধ্যে ফের অন্ডাল বিমানবন্দর জমি জটের কবলে পড়ল। শুক্রবার অন্ডাল বিমান বন্দরের জন্য দেওয়া জমির মালিক ও ভাগ চাষীরা অন্ডাল বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগে একজোট হয়ে অন্ডাল বিমান বন্দরের জমির সীমানার কাঁটা তারের বেড়া উপড়ে ফেলে দিলেন। বিক্ষোভকারী জমির মালিক ও ভাগ চাষীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ যদি বিমান বন্দর তৈরি করতে জমি নেওয়ার সময় জমির মালিক ও ভাগ চাষীদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সাত দিনের মধ্যে তা কার্যকর না করেন তাহলে জমি দাতারা বিমন বন্দরে ঢুকে রানওয়েতে শুয়ে বিক্ষোভ দেখাবেন। এদিন অন্ডাল বিমান বন্দরের জমির মালিক ও ভাগ চাষীদের বেশির ভাগই ছিলেন স্থানীয় দক্ষিণ খন্ড, তামলা, আরতি ও দুবচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
জমি দাতা রনজিৎ পাল, শ্যামাপদ গোপ বলেন, ‘২০০৯ সালে অন্ডাল ও লাউদোহার ১১টি মৌজার ২৩০০ একর জমি নেয় বেঙ্গল এয়ারোট্রোপলিস প্রোজেক্টস লিমিটেড(বিএপিএল) কর্তৃপক্ষ। বিমান বন্দর করতে বিএপিএল স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণের জন্য একর প্রতি সাড়ে সাত লক্ষ টাকা হারে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পরিবার পিছু একজনকে ট্রেনিং শেষে বিমান বন্দরে চাকরি ও বিমান নগরীতে এক কাঠা করে জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আর ভাগচাষী-বর্গাদারদের এককালীন আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।’ রণজিৎ পাল, শ্যামাপদ গোপদের অভিযোগ, জমির মালিকদের জমিতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হল, একের পর এক মহানগরের সঙ্গে অন্ডাল বিমান বন্দর আকাশ পথে যাত্রা শুরু হচ্ছে। কিন্তু বিমান বন্দর তৈরির জন্য জমি দাতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে জমির মালিকদের বঞ্চিত করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। জমি মালিক ও ভাগচাষী-বর্গাদাররা এদিন বিমান বন্দরের জমির সীমানার কাঁটা তার উপড়ে ফেলে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন সাত দিনের মধ্যে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের স্বার্থ রক্ষা না করলে কোন ভাবেই অন্ডাল বিমান বন্দর থেকে কোন বিমানকে আর আকাশে উড়তে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আমরা রানওয়েতে শুয়ে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেব।
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?