অন্যান্য বছরের মত এবারও বর্ষার সময়ে নদী থেকে বালি তোলা নিষিদ্ধ করল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। শুক্রবারই জেলাশাসক বিজয় ভারতী এব্যাপারে নির্দেশিকা জারী করলেও শনিবার প্রতিটি ব্লকের বিএলআরও দফতর সহ সংশ্লিষ্ট ঘাটের ইজারাদারদের কাছে এই নির্দেশিকা পৌঁছলো। শনিবার বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি)শশীকুমার চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, শনিবার থেকেই লাগু হয়ে গেছে এই নিয়ম। এই নিয়ম লঙ্ঘন করে নদী থেকে বালি তোলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শশীকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, ভূমি দফতরের ৫টি টিম পর্যায়ক্রমে বালি সংক্রান্ত বিষয়ে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট সরকারি ঘাটের সংখ্যা ৪২৭টি। তার মধ্যে ৩০৬টি ঘাটের নিলাম সংক্রান্ত কাজকর্ম চলছে। ১৫০টি ঘাট পুরোদমে চলছে। এই নির্দেশে সমস্ত ঘাটের ইজারাদারদেরই বালি তোলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এর মধ্যে ৮০টি ক্ষেত্রে ইজারাদারদের বালি মজুদ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জিটিরোড বা হাইরোড থেকে ২০০ মিটার দূরত্বে এই বালি মজুদ করতে হবে। নিয়ম ভাঙলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, তিনি জানিয়েছেন, অবৈধভাবে বালি তোলার জন্য রায়না ১নং ব্লকের ১টি, জামালপুর ২ নং ব্লকের ২টি , মেমারি ১ নং ব্লকের ২টি, কালনা ১নং ব্লকের ১টি, মঙ্গলকোটের ২টি ঘাট মালিকের বিরুদ্ধে সরাসরি এফআইআর করা হয়েছে। এছাড়াও কাটোয়ায় একাধিক অভিযোগ এসেছে সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন,২০১৮-২০১৯ আর্থিক বছরে ভূমি দফতর বালি থেকে রয়্যালটি বাবদ ১৬ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা আদায় করতে পেরেছে। সেস বাবদ আয় হয়েছে ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। ওভারলোর্ডিং সংক্রান্ত বিষয়ে জরিমানা বাবদ ১২ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা আদায় করা গেছে।
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?