বর্ধমানের রমনাবাগান অভয়ারণ্যে অবশেষে এসে পৌঁছল দুটি চিতাবাঘ। যদিও এখনই সাধারণ দর্শকদের এই নতুন অথিতিদের দেখার সুযোগ হচ্ছে না। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে চিতাবাঘ দুটিকে দর্শকদের জন্য নির্দিষ্ট এনক্লোজারে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বনদফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। বুধবার রাতে কোচবিহারের খয়েরবাড়ি এবং রসিকবিল থেকে বনদফতরের আধিকারিকরা চিতা দুটিকে বর্ধমানের রমনাবাগানে নিয়ে আসেন।
বনদফতর সূত্রে জানা গেছে, নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে যেকোন পশুর। আগামী ১৫ দিন চিতা দুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তারপরই সঠিক সময়ে দর্শকদের সামনে হাজির করা হবে রমনাবাগানের নতুন আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকা চিতাবাঘ দুটিকে।
জেলা বনাধিকারিক দেবাশীষ শর্মা জানিয়েছেন, দুটি চিতার মধ্যে একটি পুরুষ ও অন্যটি মহিলা। পুরুষ চিতাবাঘটির নাম ‘ধ্রুব’ এবং মহিলা চিতাটির নাম ‘কালি’। ধ্রুবর বয়স আনুমানিক ৯। অন্যদিকে কালীর বয়স ১৭। বনাধিকারিক জানিয়েছেন, দীর্ঘ কয়েকবছর পর আবার রমনাবাগান অভয়ারণ্যে দুটি বাঘ আসায় এই চিড়িয়াখানার আকর্ষণ বহুগুণ বেড়ে গেল। তিনি জানান, খুব শীঘ্রই আরও কিছু আকর্ষণীয় পশু আসতে চলেছে এখানে। ভাল্লুক, ঘড়িয়াল, বার্কিং ডিয়ার প্রভৃতি পশুগুলি চলে এলে দর্শক আগমন আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দেবাশীষবাবু।
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?