স্কুলের স্টাফ রুমে সিসিটিভি সাথে সাউন্ড ক্যাচার লগানোয় ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। প্রতিবাদে স্টাফ রুমে না বসে গাছতলা থেকেই ক্লাস নিতে যাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস স্কুলের ঘটনা।
আন্দোলনরত শিক্ষিকাদের অভিযোগ, স্কুলে সিসিটিভি লাগানো নিয়ে তাঁদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্টাফ রুমে সিসিটিভির পাশাপাশি সাউন্ড ক্যাচার লাগিয়ে তাঁদের ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করেছেন প্রধান শিক্ষিকা। এই ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলেও তাঁরা অভিযোগ করেছেন। এব্যাপারে তারা ইতিমধ্যেই জেলাশাসক, জেলা স্কুল পরিদর্শক সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগও জানিয়েছেন।
শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের আরও অভিযোগ, স্কুলের মিড-ডে মিলের জায়গায় কিংবা খাবারের জায়গায় সিসিটিভি লাগানো জরুরি হলেও তা লাগানো হয়নি। এমনকি স্টাফ রুমে সাইন্ড ক্যাচার লাগানোর বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটিতে কোন সিদ্ধান্তই হয়নি বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। যদিও এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী মল্লিক জানিয়েছেন, ‘স্কুলের সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্যই সরকারের বিশাখা কমিটির সুপারিশ মেনেই তাঁরা সিসিটিভি এবং সাউন্ড ক্যাচার লাগিয়েছেন।’ তিনি জানিয়েছেন, এই স্কুলে প্রায় ২২০০ ছাত্রী রয়েছে। প্রধান শিক্ষিকার দাবি, এর আগেও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের ওপর দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু প্রমাণের অভাবে কোন ব্যবস্থা তাঁরা নিতে পারেন নি। তাই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।