বর্ধমান শহরের মহাজনটুলি তথা পতিতাপল্লীর একটি ঘর থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো শহর জুড়ে। মৃত যুবকের নাম চৌধুরী মহম্মদ সফিক ওরফে সেন্টু চৌধুরী (৩৮)। বাড়ি মঙ্গলকোটের পালিশ গ্রামে। তিনি পেশায় একটি মুরগি খামারের ডেলিভারি ভ্যানের চালক ছিলেন। বর্ধমান শহরের খাগড়াগড় এলাকায় স্ত্রী ও আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। মৃতের গলায় কালসিটে দাগ এবং মুখ দিয়ে রক্ত বের হওয়ায় প্রাথমিকভাবে সেন্টুকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। যে ঘরে সেন্টুর দেহ পাওয়া যায় সেই ঘর ভাড়া নেওয়া যৌনকর্মী সঙ্গীতা বসুকে পুলিশ আটক করেছে।
অন্যদিকে, এদিন মৃত যুবকের বাবা চৌধুরী আব্দুল রফি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলেকে পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত বলে তিনি এদিন অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে, যে বাড়িতে দেহ পাওয়া গেছে সেই বাড়ির মালকিন জানিয়েছেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে সঙ্গীতা নামে এক যৌনকর্মী ওই রুম ভাড়া নেয়। ওই রুমে গত তিন মাস ধরে সেন্টু নামে ওই যুবক সঙ্গীতার কাছে আসা যাওয়া শুরু করে। বেশ কিছুদিন ধরেই ওই যুবক সন্ধ্যায় সঙ্গীতার কাছে ওই বাড়ির তিনতলার ঘরে ঢুকত এবং পরের দিন সকালে বেড়িয়ে যেত।
বিল্ডিংয়ের অন্যান্য যৌনকর্মীরা এদিন জানিয়েছেন, প্রতি রাতেই সঙ্গীতার সঙ্গে সেন্টুর অশান্তি হত। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে এলাকার মানুষজন সেণ্টুর মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিকে, পতিতাপল্লীতে এই খুনের ঘটনার পরই গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।