পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রায় ৪ হাজার ওষুধের দোকান থাকলেও ফার্মাসিস্ট রয়েছেন মাত্র ১ হাজার মতো। ফলে অধিকাংশ ওষুধের দোকানই চলছে বিনা ফার্মাসিস্টে। রবিবার লরেল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামে তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত নয়া সংগঠনের জেলা সম্মেলন থেকে এরকম তথ্যই উঠে এল। আর এই সমস্যা মেটাতে বর্ধমানে ফার্মাসি কলেজ তৈরির দাবি উঠে এল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় তৈরি হয়েছে লরেল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। রবিবার বর্ধমান জেলায় প্রথম এই নয়া সংগঠনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা, বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলার খোকন দাস, শাহাবুদ্দিন খান, প্রদীপ রহমান সহ সংগঠনের জেলা সভাপতি লক্ষ্মীনারায়ণ কোনার, আহ্বায়ক তুহিন শুভ্র দে, রূপক সরকার, বৈদ্যনাথ কোঙার প্রমুখরা।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ তথা গাইনি চিকিৎসক মমতাজ সংঘমিতা বলেন, হাসপাতালের সামনে ওষুধের দোকান থাকে। কিন্তু এটা তাকে পীড়া দেয়। কেন হাসপাতালের সামনে ওষুধের দোকান থাকবে? কেন হাসপাতাল থেকেই সমস্ত ওষুধ দেওয়া যাবে না – এই ভাবনা তাকে পীড়া দেয়। তিনি এদিন ওষুধ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলেন, অনেক সময়ই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ কিংবা অপ্রয়োজনীয় ওষুধ দেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ না দেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। জেলায় ফার্মাসিস্টদের অভাবের বিষয় সম্পর্কে এদিন সাংসদ বলেন, তিনি এব্যাপারে বর্ধমানে যাতে একটি কলেজ তৈরি করা যায় সে ব্যাপারে সরকারের কাছে আবেদন জানাবেন।