একজন স্থায়ী মোটা টাকা বেতনের কর্মী দীর্ঘদিন ধরে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থেকেও মোটা মাস মাইনে পান। আর একজন অস্থায়ী ঠিকা কর্মী কেবলমাত্র পেটের দায়ে ওই কেন্দ্রীয় সরকারের স্থায়ী কর্মীর বদলি হিসেবে কাজ করেন মাত্র পাঁচ-ছয় হাজার টাকা মাস মাইনেতে। কোলিয়ারিতে এই বেআইনী বদলি প্রথা চালু আছে। স্থায়ী শ্রমিকরা নিজেদের কাজ বাঁচাতে এই বেআইনি প্রথা ইসিএলের কোল বেল্টে দীর্ঘদিন ধরে বাঁচিয়ে রেখেছে। অথচ বার বার ইসিএল কর্তৃপক্ষ এই বেআইনি প্রথা বন্ধ করতে তৎপরতা শুরু করলেই শুরু হয়ে যায় ইসিএল কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে সংঘাত।
বুধবার এই রকমই বদলি বন্ধের এক নোটিসকে ঘিরে পাণ্ডবেশ্বরের তিলাবনি কোলিয়ারির উৎপাদন ও পরিবহণ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় তিলাবনির ৯১৪ জন শ্রমিক। কোলিয়ারির কাজকর্ম সম্পূর্ণ বন্ধ করে রেখে দেওয়ায় কয়েক কোটি টাকা লোকসান হল ইসিএল কর্তৃপক্ষের। অথচ এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ সকলেই। ইসিএলের তিলাবনি কোলিয়ারির এজেন্ট সুভাশিষ ঘোষ বা ইসিএল আধিকারিক পল্লব চক্রবর্তীও কোনকিছু বলতে অস্বীকার করেন। এতদিন মৌখিক ভাবে বদলি চললেও ইসিএল কর্তৃপক্ষের এই বদলি বন্ধের নোটিস ইসিএলে যে বেআইনি বদলি প্রথা চালু সেকথা কার্যত স্বীকার করে নিল ইসিএল কর্তৃপক্ষ।