এবার সরকার পোষিত বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলের বিরুদ্ধে উন্নয়নের নামে রসিদ ছাড়াই অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠলো। অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষিকার দাবি,পরিচালন সমিতির মিটিংয়ে অভিভাবকরাই স্বেচ্ছায় টাকা দেওয়ার কথা জানান এবং টাকা দেওয়ার পরিবর্তে রসিদও দেওয়া হচ্ছে।যদিও রসিদ ছাড়াই টাকা নেওয়ার অভিযোগ অভিভাবকদের। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
বর্ধমান পৌর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেও অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুলের তরফে ছাত্রীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের জানানো হয় প্রাথমিক স্তরের প্রতি ছাত্রীদের জন্য ৫০০ টাকা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের প্রতি ছাত্রীদের জন্য ১০০০ টাকা করে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য দিতে হবে। সেখানেই আপত্তি তুলে অভিভাবকরা জানান সরকারি স্কুলে রসিদ ছাড়া এইভাবে টাকা নেওয়ার যৌক্তিকতা কোথায়। অভিযোগ করা হয় জেলাশাসকের কাছে। জেলাশাসক সমগ্র ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দেন। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দাবি সমগ্র বিষয়টি অভিভাবকদের জানানো হয়েছিল এবং তাঁদের সম্মতিতেই টাকা নেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে রসিদও। টাকা দেওয়াটা বাধ্যতামূলকও নয়। অভিভাবকদের ইচ্ছার উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।