সারা জীবন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থায় চাকরি করে কেবলমাত্র আধার কার্ডে আঙ্গুলের ছাপ না তুলতে পারায় পেনশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দুর্গাপুরের খাঁদরা নাগকাজোড়ার হরি আপতা।
হরি আপতা কেন্দ্রীয় সংস্থা ইসিএলের খাঁদরা নাগকাজোড়ার একজন লোডার ছিলেন। ১৯৯৮ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসর নেন। সেই সময়ে আবসর নেওয়ায় পাওনা গন্ডা সব ঠিকঠাক পেলেও পরে হরি আপতা কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হন। তাঁর হাতের আঙ্গুলগুলি বর্তমানে অস্বাভাবিক অবস্থা হয়ে যাওয়ায় আধার কার্ডে আঙ্গুলের ছাপ নিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট আধার কার্ডে প্রস্তুতকারী সংস্থা। ফলে তৈরি হয়নি আধার কার্ড। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক না হওয়ায় নিয়মের ফেরে হরি আপতার পেনশন আটকে গেছে।
হরি আপতার দুই মেয়ে এক ছেলে। এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলেও অন্য জন বিবাহযোগ্যা। এই মূহুর্তে ব্যয় বহুল সংসারের পেনশনই একমাত্র সম্বল হরি আপতার। কিন্তু আধার কার্ডের জন্য আঙ্গুলের ছাপ না ওঠায় আধার কার্ড হয়নি। ফলে পেনশন ও বন্ধ আছে। একদিকে কুষ্ঠ রোগের সামাজিক সুচিতায় কেউ পাশে দাঁড়ায়নি হরি আপতার, অন্যদিকে চরম আর্থিক অনটন। দুইয়ের মধ্যে পড়ে হরি আপতার নাভিশ্বাস উঠেছে সংসার চালাতে।