বৃহস্পতিবার কয়েক মিনিটের ঝড়ে তছনছ হয়ে গেল আউশগ্রাম-২ ব্লকের অমরপুর পঞ্চায়েতের ৬টি গ্রাম। এদিন ঝড়ের দাপটে শতাধিক বাড়ি, বহু গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। জানা গেছে, এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলি। এরপর বিকট আওয়াজ করে শুরু হয় ঝড়। মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী হয় ঝড়। তাতেই লন্ডভন্ড হয়ে যায় অমরপুর পঞ্চায়েতের মৌখীরা, হরিশচন্দ্রপুর, মঙ্গলপুর, কালিকাপুর, ভোগাতলা, আকুলিয়া গ্রামগুলি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে ব্লক প্রশাসন। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাও গ্রামগুলিতে গিয়ে ত্রাণ বিলি করেন।

কয়েক দিন টানা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থার পর বৃহস্পতিবার সাত সকালে দুই বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে প্রবল কালবৈশাখী ঝড় সঙ্গে নাগাড়ে বজ্রবৃষ্টি মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিল। পাশাপাশি ঝড় বৃষ্টিতে বেশ কিছু এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই কাল বৈশাখীর ঝড়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু গাছ উপড়ে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয় বলে জানা যায়। এদিন বজ্রপাতে বেনাচিতির নাচন রোড সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকায় কম্পিউটার সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যায় বলে জানা গেছে। এদিন কাঁকসার শিবপুর লাগোয়া জঙ্গলে মাঠের মধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে একটি হাইটেনশন তারের টাওয়ার পড়ে গিয়ে এলাকায় বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়ে।

বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে বৃষ্টিপাতে ডুবলো আসানসোল। ভোর রাত থেকে বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টি আর শিলাবৃষ্টির জেরে জল জমে যায় আসানসোল রেলসেতুর কাছে। ধাধকা যাওযার রাস্তা পুরোপুরি ডুবে যায়। বেশ কয়েকটি দোকানও ডুবে যায়। এই বৃষ্টির ফলে আসানসোলের ৭ নম্বর প্লাটফর্মের দিকে রেলযাত্রীদের যেতে বেশ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। অন্যদিকে, দিলদার নগর এলাকায় প্রায় শতাধিক বাড়িতে জল ঢুকে যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ নিকাশীর বেহাল অবস্থার কারণেই গত দুবছর ধরে এমন অবস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের।


Like Us On Facebook