শুক্রবার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি বেডিংয়ের দোকান ও গোডাউন। দমকলের দশটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের জিটি রোডের পার্কাস রোড এলাকায়। রাত্রি প্রায় ১১টা নাগাদ আগুন লাগার পর আগুন নেভাতে বর্ধমান ছাড়াও মেমারি ও ভাতাড় থেকেও দমকলের ইঞ্জিনকে নিয়ে আসতে হয়। একযোগে আগুন নেভানোর কাজে লাগলেও প্রথমদিকে আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চরম বেগ পেতে হয় দমকলকে। জেসিবি দিয়ে দোকানের শাটার ভেঙে আগুনকে বাগে আনার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোন ভাবেই আগুনকে আটকানো যায় নি। আগুনের ভয়ে আশেপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পাশের দোকানের মালিকরা তাদের দোকান থেকে মালপত্র বের করতে শুরু করে দেন।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় দমকলের দশটি ইঞ্জিন আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনে। কয়েক লক্ষ টাকার বেডিংয়ের সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে যায় বলে জানা গেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। যদিও এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ব্যাপক বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রাজেশ সাউ জানিয়েছেন, আগুন প্রথমে লাগে ওই দোকানের শোরুমে। এরপর আগুন লাগে ওই দোকান থেকে বেশ কিছুটা দূরে এবং ওই দোকানেরই গোডাউনে। অথচ মাঝে বেশ কয়েকটি দোকান থাকা সত্ত্বেও সেখানে আগুনের কোনো আঁচই দেখা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই শর্টসার্কিট থেকেই আগুন নাকি অন্য কোন কারণ রয়েছে এর পিছনে তা নিয়ে রীতিমত বিতর্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগুন লাগার পর খবর দেওয়া হলেও ঘটনাস্থলে দোকানের মালিকের ছেলে আসেন প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে। এই ঘটনায় ক্ষীপ্ত হয়ে এলাকার বাসিন্দারা তাকে মারতেও উদ্যত হয়। যদিও পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়। দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে।