রাজ্যের লোকসানে চলা ৮টি রেলপথকে তুলে দেবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রকের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মুখর হল বর্ধমান-কাটোয়া রেলপথের নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। শনিবার বর্ধমান ষ্টেশনের ৮নং প্ল্যাটফর্মে রেলমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলন করারও হুমকি দিলেন বলগোনা-বর্ধমান রেলওয়ে
প্যাসেঞ্জার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। সংগঠনের সভাপতি কৃষ্ণবিনোদ যশ এদিন জানিয়েছেন, মাত্র কয়েকদিন আগেই শ্রীখণ্ড থেকে কাটোয়ার বাকি অংশে রেল পরিষেবা চালু হয়েছে। তাই কিভাবে রেলমন্ত্রক বলতে পারেন এটা লোকসানে চলছে? তিনি জানান, রবিবার তাঁরা সাংগঠনিকভাবে আলোচনায় বসে এব্যাপারে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরী করবেন।
অন্যদিকে, সাধারণ মানুষও এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদিন ভাতারের বাসিন্দা লীনা হাজরা তাঁর মেয়ে অসীমা দত্তকে সঙ্গে নিয়ে বর্ধমানে এসেছিলেন। তিনি জানান, কদিন আগেই বর্ধমান থেকে কাটোয়া পর্যন্ত পুরোপুরি রেল চালু হল আর তার মাঝেই এই রেলপথ বন্ধ করার খবরে খুবই খারাপ লাগছে। তিনি জানান, তবে এব্যাপারে যাত্রীরাও দায়ী। একদিকে যেমন টিকিট না কেটে যাওয়া তেমনি রেল দপ্তরের চেকিং-এর ত্রুটির কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। বাসে যাওয়ার থেকে ট্রেনে যেতেই যাত্রীরা আগ্রহী তাই এব্যাপারটিও দেখা উচিত।
অপরদিকে, বর্ধমান-কাটোয়া রেলপথকে তুলে দেবার এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে বর্ধমানের ষ্টেশন ম্যানেজার স্বপন অধিকারী জানিয়েছেন, এখনই এই রেলপথ বন্ধ করার কোনো নির্দেশ আসেনি। তিনি জানান, রেলওয়ে স্ট্যাণ্ডিং কমিটির একটি রুটিন অডিট রিপোর্ট প্রতিবছরই রাজ্য সরকারগুলিকে পাঠানো হয়। এক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বর্ধমান কাটোয়া রেলপথকে তুলে দেওয়া নয়, ব্যাণ্ডেল থেকে কাটোয়া হয়ে বর্ধমান এবং ব্যাণ্ডেলে পৌঁছানোর জন্য রেলদপ্তর একটি সার্কুলার রেলপথ তৈরির কাজও শুরু করেছেন। তিনি জানান, তাঁরা আশা করছেন পুরোদমে কাটোয়া পর্যন্ত ট্রেন চালু হলে লোকসান তো নয়ই বরং লাভজনক হবে।