২০১১ সালের আগে পর্যন্ত রাজ্যের শ্রম দপ্তরের কাজ কি তাই বাংলার মানুষ জানতনা। কিন্তু গত ৬ বছরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দে্যোপাধ্যায় আমূল পরিবর্তন করেছেন শ্রম দপ্তরের। রবিবার বর্ধমান শহরের উৎসব ময়দানে বর্ধমান সদর উত্তর মহকুমার ৩ দিন ব্যাপী শ্রমিক মেলার উদ্বোধন করতে এসে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বারবারই বিঁধেছেন বিগত বাম সরকারকে।

তিনি বলেন, যেখানে শ্রম দপ্তরের অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য বাম আমলে বরাদ্দ ছিল মাত্র ৯ কোটি টাকা, সেখানে বর্তমান বরাদ্দ ১০০ গুণ বাড়িয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় করেছেন১ হাজার ৮ কোটি টাকা। অস্বচ্ছতা দূর করতে, মাঝপথের দালালরাজ খতম করতে সরাসরি সুবিধা প্রাপকদের ব্যাঙ্ক এ্যাকাউণ্টে টাকা দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ৯২ লক্ষ অসংগঠিত শ্রমিক নথীভূক্ত হয়েছেন। খুব শীঘ্রই ১ কোটি হতে চলেছে এই সংখ্যা। বামেদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, বামফ্রণ্ট আমলে তাদের ঝাণ্ডা না ধরলে কাউকে অনুদান দিত না। এদিন বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, আদানি, আম্বানিদের মত বড় বড় শিল্পপতিদের সুবিধা দিতেই মানুষকে বিভ্রান্ত করছে মোদি সরকার। ট্রেনের টিকিদের দাম বাড়িয়েছে, ব্যাঙ্ক আর নিরাপদ নয়, ব্যাঙ্কের সুদ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা তাদের ঋণ দিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা সৃষ্টি করেছে মোদি সরকার।

এদিন মলয়বাবু বর্ধমান সদর মহকুমার অন্তর্গত ২২০৩ জন বিভিন্ন শ্রমিকদের জন্য মোট ২, ২৬, ৯৯, ৪৭১টাকার সুবিধা প্রদান করেন। এছাড়াও ৪৯৮ জনের হাতে পাশবই তুলে দেওয়া হয়। সাধারণ মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ জনের হাতে ১৫,২৭,৪০৫ টাকা, দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ জনকে ৫ লক্ষ টাকা, শিক্ষাখাতে স্নাতক ৭ জনের হাতে ৪২ হাজার টাকা, স্নাতকোত্তর কোর্সের জন্য ৩ জনের হাতে ২৮ হাজার টাকা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার জন্য ২ জনের হাতে ৬০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়।

মেলা চলবে ১৬ জানুয়ারী পর্যন্ত। এদিন এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু, সহকারী সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, এলাকার বিধায়ক, জনপ্রতিনিধি সহ শ্রম দপ্তরের জয়েণ্ট লেবার কমিশনার তীর্থঙ্কর সেনগুপ্ত প্রমুখ।

Like Us On Facebook