বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার আইনি সহায়তা কেন্দ্রের মানবিক মুখ দেখলো বিহারের গোদাবরী দেবীর পরিবার। জেলা আইনি সহায়তা কর্তৃপক্ষর সচিব জয় প্রকাশ সিং জানান, গোদাবরী দেবী নামে এক মহিলা প্রায় দুবছর আগে বর্ধমানে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এই সময় মহিলাটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তার পর তাকে উদ্ধার করে বর্ধমানের কলানবগ্রামের নিবেদিতা হোমে রাখা হয়। এর পর মহিলাটি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু সস্তানের জন্ম দেওয়ার কিছুদিন পর থেকে মহিলাটি তার শিশু পুত্রর ওপর অত্যাচার শুরু করে। তাকে আঁচড়ে, খামচে দিত ও মারধর করত।
কলানবগ্রামের নিবেদিতা ভবন সেই সময় চাইল্ড ওয়েল ফেয়ারের হাতে শিশুটিকে তুলে দেয় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার শিশুটিকে বর্ধমানের একটি হোমে রাখে। অন্যদিকে গোদাবর দেবীর চিকিৎসাও চালাতে থাকে নিবেদিতা হোম। বেশ কয়েক মাস পর চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠে গোদাবরী। এরপর গোদাবরী দেবীর হাতে তুলে দেওয়া হয় তার শিশুকে। শিশুটির বয়স এখন প্রায় সাত মাস। ইতিমধ্যে পুলিশের সহায়তায় সন্ধান মেলে গোদাবরী দেবীর পরিবারের। এর পরই বর্ধমান জেলা আইনি সহায়তা কর্তৃপক্ষ গোদাবরী দেবী ও তার শিশু পুত্রকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আইনের দিক থেকে সবরকম চেষ্টা শুরু করে। যেহেতু গোদাবরী দেবীর বয়স ১৮ বছরের উর্দ্ধে। আইনি সহায়তা কেন্দ্রের সচিব জয় প্রকাশ সিং জানান, আমরা সব রকম কাগজ পত্র খুবই তাড়াতাড়ি তৈরি করে গোদাবরী দেবীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরেছি। এটাই আমাদের কাছে খুশির ব্যাপার। হারানো মেয়েকে সব কিছু আইনি জটিলতা কাটিয়ে ফিরে পেয়ে গোদাবরী দেবীর পরিবারও খুশি।