দুর্গাপুরের নেতাজী ঘনিষ্ট কর্ণেল দত্তের বাড়িতে আজও বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দ পূজিত হন। কর্ণেল দত্তের বাড়িতে অন্য দেবদেবীর কোন মূর্তি নেই। আছে নেতাজী ও বিবেকানন্দের মর্মর মূর্তি। বাড়িতে প্রবেশ করলেই বোঝা যায় বাড়ির মাহাত্ম্য। নেতাজী ও কর্ণেলের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি বিভিন্ন শহিদের ছবি, মেডেল, শংসাপত্রে শোভিত একটি মিউজিয়ামের চেহারা নিয়েছে। আজ কর্ণেল দত্ত নেই, আছে তাঁর দুষ্প্রাপ্য সব নেতাজী সংস্পর্শের যাবতীয় সব স্মৃতি।

কর্ণেল সুধাংশু শেখর দত্ত পরাধীন ভারতকে স্বাধীন করতে নেতাজীর সঙ্গে বিবেকানন্দের আদর্শকেই একমাত্র পথ দেখেছিলেন। তাই কর্ণেল দত্তের বাড়িতে ৩৬৫ দিনই বিবেকানন্দ পূজিত হন। স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৫ তম জন্মজয়ন্তীতে কোন আড়ম্বর নেই দত্তবাড়িতে, অনাড়ম্বরে বীর সন্ন্যাসীর জন্মজয়ন্তী পালিত হচ্ছে নিভৃতে। দুর্গাপুরের মানুষও শ্রদ্ধাশীল এই দত্ত বাড়ির প্রতি। কর্ণেল দত্তের ভাইঝি বনশ্রী রায় দাস বলেন,”আমার জেঠু দেশবরেণ্য নেতা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজের একজন কর্ণেল ছিলেন। নেতাজী সুভাষচন্দ্র ও বিবেকানন্দের আদর্শই জেঠুর জীবনে প্রভাব ফেলেছিল তাই তাঁর কাছে এঁরা ভগবান ছিলেন। এই দুই মহান ব্যাক্তির আদর্শেই কর্ণেল সুধাংশু শেখর দত্ত অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের জন্য লড়াই করেছেন। আমরা তাই আজও নেতাজী ও বিবেকানন্দকেই ভগবান রূপে নিত্য পূজা করি।” দত্ত বাড়ির অন্যান্য সদস্য সূর্যশেখর দাস, কাকলি দে দাস ও উজ্জ্বলা মালিকরা আজও কর্ণেল দত্তের দেখান পথকে অনুসরণ করে চলেছেন।