গত শুক্রবার থেকে খান্দরার দেবানন্দ বাউরী নিখোঁজ ছিল। রবিবার সকালে পড়শিরা দেবানন্দের বাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধ পেয়ে বাড়িতে খোঁজ করলে দেখতে পায় বাক্সবন্দী মৃত দেবানন্দের দেহ। পুলিশকে খবর দিলে অণ্ডাল থানার পুলিশ এসে বাড়ির মালকিন লীলাবতী ভূইয়াঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। লীলাবতীর অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করে। ঘটনাটি ঘটেছে অণ্ডালের খান্দরা নীলকন্ঠ পাড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে জন্মসূত্রে ধানবাদের বাসিন্দা দেবানন্দ আসলে লীলাবতীর দেওর অমরজিতের বন্ধু। লীলাবতীর স্বামী সুরেশ ভুইয়াঁ মারা যাওয়ার পর অমরজিতের হাত ধরেই ভুইয়াঁ বাড়িতে যাতায়াত শুরু হয় দেবানন্দের। লীলাবতী-অমরজিতের সম্পর্কের মধ্যে দেবানন্দ ঢুকে পড়ে লীলাবতীকে বিয়ে করে। লীলাবতীর আগের পক্ষের দুই সন্তানকে নিয়ে বিয়ের পর দেবানন্দ খান্দরার নীলকন্ঠ পাড়ায় পাকাপাকি ভাবে বসবাস শুরু করে। এটাই অমরজিতের রাগের কারণ। গত শুক্রবার থেকে হঠাৎ দেবানন্দ নিখোঁজ হয়ে যায়। লীলাবতী পড়শিদের জানায় দেবানন্দকে পাওয়া যাচ্ছেনা। অথচ লীলাবতীর আচরণে কখনও বোঝা যায়নি স্বামী নিখোঁজ।
রবিবার সকালে পড়শিরা লীলাবতীর বাড়ির ভিতর থেকে পচা গন্ধ বের হতে দেখে জোর করে বাড়িতে ঢুকে দেখে একটি বড় বাক্স থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। অ্যালুমিনিয়ামের বাক্স ভেঙ্গে পড়শিরা মৃত দেবানন্দের দেহ দেখতে পায়। ঘটনার পর অমরজিতও উধাও হয়ে যায়। পুলিশ মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সূত্র মারফৎ জানা গেছে পুলিশ ধানবাদ থেকে অমরজিৎকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ লীলাবতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।