বাজারে অত্যধিক মাত্রায় কয়েনের জোগান ব্যবসায়ীদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট থেকে বড় প্রায় সকলের কাছেই কয়েনের পাহাড় জমে উঠতে শুরু করেছে। হাজার নয়, লক্ষ লক্ষ টাকার কয়েনের পাহাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় ডুবে যাচ্ছেন ক্রমশই ব্যবসায়ীরা। ফলে ক্রমশই কয়েন নিয়ে বাজার উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ীদের হাতে লক্ষ লক্ষ টাকার কয়েন জমা হতে থাকায় ক্ষোভ এবং অশান্তি দুইই ক্রমশ বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা আর কেউ খুচরো নিতে চাইছেন না। সাধারণ মানুষও নাছোড়বান্দা। সবাই চাইছেন কয়েনমুক্ত হতে। আর এর মাঝে মূল প্রতিবন্ধক হিসাবে দাঁড়িয়ে গেছে ব্যাঙ্কগুলি। ব্যাঙ্কও খুচরো কয়েন নিতে অস্বীকার করায় জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে ক্ষোভ। যদিও খোদ পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, খুচরো বা কয়েন নিতে কেউ অস্বীকার করতে পারেন না। কারণ ভারত সরকার কয়েন বাতিল করেননি। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গাইডলাইন ব্যাঙ্কে ব্যাঙ্কে এসেও গেছে। কিন্তু কোথাও কয়েন বাতিল করার কথা বলা হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, কেউ কয়েন নিতে অস্বীকার করার নির্দিষ্ট অভিযোগ করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরদিকে, বর্ধমান শহরের দুবরাজদিঘী এলাকার সাবান কারখানার মালিক সেখ হাসেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন খুচরো তথা ছোটখাটো দোকানে তাদের মাল দিতে হয়। পরিবর্তে ছোট দোকানদাররা তাদের খুচরো কয়েন দিয়েই তাদের পেমেণ্ট দেন। ব্যবসা চালানোর জন্য তাদের তাই নিতেও হয়। কিন্ত বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই কয়েন যখন তারা মহাজনের কাছে দিতে যাচ্ছেন তখন তা তারা নিতে অস্বীকার করছেন। এইভাবে জমতে জমতে তাদের কাছে কয়েনের পাহাড় হয়ে যাচ্ছে। একই কথা বলেছেন বর্ধমান শহরের পানবিড়ির দোকানদার দীননাথ মণ্ডলও। মুড়ির ব্যবসায়ী রাজীবুল হক মল্লিক জানিয়েছেন, তাঁর ব্যবসার মূল পুঁজিই প্রায় ৫ লাখ টাকার কাছাকাছি। ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার কয়েন জমা হয়ে গেছে। কেউ নিতে চাইছেন না। এখন তার ব্যবসা চালানোই দায় হয়ে পড়েছে।

Like Us On Facebook