বহু কষ্টে কিনেছিলেন একটা চার চাকা গাড়ি, সেই গাড়িকে পুলকার হিসাবে ব্যবহার করে স্বচ্ছন্দেই চলছিল অন্ডালের সিদুলি এলাকার আনন্দ কুমার দুবের সংসার। কিন্তু করোনার জেরে জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। দীর্ঘ লকডাউনের কারণে বন্ধ ছিল স্কুল, কলেজ, অফিস, কাছারি সমস্ত কিছু। স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয় আনন্দবাবুর পুলকার থেকে আয়। ফলে সংসারে নেমে আসে চরম আর্থিক সঙ্কট। আনন্দ কুমার দুবে জানান, পুলকারের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই মুহূর্তে কী করবেন তিনি বুঝতে পারছিলেন না, কিন্তু চারজনের সংসারে তিনিই একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি। যেমন করেই হোক ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা ও তাদের মুখে দু’মুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার একান্ত প্রচেষ্টায় তিনি আজ চা বিক্রেতা।

আনন্দবাবু জানান, সংসার চালানোর তাগিদে পুলকারে কিছু পরিবর্তন করে সেখানেই চলমান চায়ের দোকান খুলেছি। সকাল হলেই তিনি চলমান চায়ের দোকান নিয়ে নিয়মিত হাজির হয়ে যান সিদুলি কোলিয়ারির অফিসের সামনে। তিনি জানান, এভাবে চলমান চায়ের দোকান করে তিনি দিনে ২০০-৩০০ টাকা রোজগার করেন। তাতে বর্তমানে সংসার চালানো খুবই কঠিন। আনন্দবাবু জানান, বর্তমানে স্কুল খুলেছে ঠিকই কিন্তু কোন স্কুল থেকেই পুলকারের জন্য ডাক আসেনি। তাঁর সংসারে স্ত্রী ছাড়া রয়েছে দুই সন্তান। সংসার চালাতে তাই নিয়মিত সিদুলি এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় সময়মতো গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যান চা ওয়ালা আনন্দ দুবে।

Like Us On Facebook