বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার সিভিক ভলান্টিয়ার রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে খুন করতে কাকা বিপ্লব ওরফে মোহন ঘোষ তিন লক্ষ টাকা সুপারি দিয়েছিল বলে তদন্তে জানতে পারে পুলিশ। বুধবার রাতে বর্ধমান থানার পুলিশ মোহন ঘোষ, রাজু মুন্ডা ও মানবেন্দ্র চাকিকে গ্রেফতার করে। জানা গেছে, সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই খুন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে রবীন্দ্রনাথ বাবা ও কাকার মধ্যে বিবাদ চলছিল। এরইমধ্যে ভাইপোকে খুন করার ছক কষে মোহন ঘোষ। মৃত রবীন্দ্রনাথের বন্ধুকেই খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল। ৩ ফেব্রুয়ারি বন্ধু রাজু মুন্ডা ফোন করে বাড়িতে ডাকে সিভিক ভলান্টিয়ার রবীন্দ্রনাথকে। রাজু মানবেন্দ্র চাকি নামে পরিচিত একজনকে নিয়ে নিজের বাড়িতেই অপেক্ষায় ছিল। মোটরসাইকেল নিয়ে রবীন্দ্রনাথ সেখানে পৌঁছলে মাথায় হাতুড়ি মেরে খুন করা হয় তাকে। এরপর তার দেহ ফেলে দেওয়া হয় ২ নং জাতীয় সড়কের ধারে বর্ধমানের রথতলা এলাকায় বাঁকা নদীর ব্রিজের নীচে।

উল্লেখ্য, ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রথতলা এলাকায় বাঁকা নদীর সেতুর নীচে পড়ে থাকতে দেখা যায় সিভিক ভলান্টিয়ার রবীন্দ্রনাথ ঘোষের(৩৭) মৃতদেহ। বাড়ি দেওয়ানদিঘি থানার কাশিয়াড়া গ্রামে। দেওয়ানদিঘি থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ সহ পরিবারের লোকজন। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বর্ধমান থানার পুলিশ তদন্তে নেমে কাকা মোহন ঘোষ, রাজু মুন্ডা ও মানবেন্দ্র চাকিকে গ্রেফতার করে।


Like Us On Facebook