বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে বর্ধমানের সংস্কৃতি অ্যানেক্স হলে আয়োজিত গ্রামীণ সাংবাদিকতা বিষয়ক একদিনের কর্মশালার উদ্বোধন করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। এদিন তিনি সাংবাদিকতার অতীত দিনের স্মৃতিচারণ করেন। একইসঙ্গে সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকারও উল্লেখ করে বলেন, অনেক সময়ই বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর প্রশাসনিক সূত্র থেকে কিছু জানার আগেই সংবাদ মাধ্যম থেকে জেনে যান অনেক বিষয়। তা নিয়ে তিনি দ্রুত ব্যবস্থাও গ্রহণ করেন।
সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এদিন বলেন, এ রাজ্যে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাকে আরও তুলে ধরার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর বক্তব্য প্রায়শই সম্পূর্ণভাবে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিফলিত হচ্ছে না। অন্যদিকে, এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে কার্যত ঘুরিয়ে রাজ্য সরকারের ঢালাও বিজ্ঞাপন প্রকাশেরও সমালোচনা করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।
অপরদিকে, এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সমাজের আয়না এবং জীবনের অঙ্গ হিসাবে বর্ণনা করেছেন বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু। তিনি জানিয়েছেন, একজন মানুষের চোখ না থাকলে যে অসুবিধা ভোগ করতে হয়, তেমনই সংবাদ মাধ্যম না থাকলে সমাজের আয়নাকে পরিষ্কারভাবে দেখা যায় না। উল্লেখ্য, এদিন দুটি পর্বে এই কর্মশালা করা হয়। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের যুগ্ম সচীব আলোকোজ্জ্বল বন্দোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস উপদেষ্টা প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, সাংবাদিক স্নেহাশীস সূর, বিশ্বজিত মতিলাল, দেবাশীষ ভট্টাচার্য প্রমুখরাও। হাজির ছিলেন বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক কুশল চক্রবর্তীও।