গোটা রাজ্য জুড়েই করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দোকান বাজার খোলা রাখার সুনির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তারই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লোকান ট্রেনও। রাজ্যের কলকাতা সহ কয়েকটি জায়গায় বাস পরিষেবায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেলেও বর্ধমান শহরে একেবারেই ভিন্ন চিত্র। করোনার জেরে পূর্ব বর্ধমান জেলার সিংহভাগ রুটেই বাস পরিষেবা একেবারেই তলানিতে এসে ঠেকেছে। বর্ধমানের উল্লাস বাসস্ট্যাণ্ডের বেসরকারি বাসের স্টার্টার স্বপন রায় জানিয়েছেন, আগে যেখানে প্রতিদিন প্রায় ২৫০টি বাস বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করত এখন সাকুল্যে ৩০-৪০টি বাস যাতায়াত করছে। তিনি জানিয়েছেন, করোনার জেরে বাজার দোকান বন্ধ। মানুষ আতঙ্কে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। ফলে বাসের যাত্রী নেই।

এদিকে, যাত্রী না থাকায় বাস চালিয়ে লোকসানের বোঝা বাড়ছে ক্রমশই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্ত রুটেই বাস চলাচল কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। তিনি জানিয়েছেন, সাধারণ সময়ে এই উল্লাস বাসস্ট্যান্ড থেকে যেখানে টাউন সার্ভিস বাস চলত প্রায় ৫০টি। এখন সেখানে ১০ থেকে ১২টা চলছে। তাও আস্তে আস্তে বন্ধ হওয়ার মুখে। কারণ টাউন সার্ভিস বাসগুলিতেও যাত্রী নেই। এমনিতেই টোটোর দাপটে টাউন সার্ভিস বাসগুলিতে যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই কম। তার উপর চলতি করোনা মহামারীর জন্য বাসের বদলে টোটোতেই যাতায়াত করছেন অনেকে। শুধু বেসরকারি বাসই নয়, এদিন উল্লাস বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কাউণ্টার থেকেও জানা গেছে, যাত্রী না থাকায় সরকারি বাসও সেভাবে চলছে না। উল্লেখ্য, এই উল্লাস বাসস্ট্যাণ্ড থেকে কলকাতার ধর্মতলা এবং করুণাময়ী রুটের বাস বেশি যাতায়াত করে। কিন্তু চলতি করোনা পরিস্থিতির জেরে এই দুটি রুটেও গড়ে ২-৩টি বাস যাতায়াত করছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

Like Us On Facebook