মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে রাজ্য জুড়ে প্রতারণা চালানোর অভিযোগ উঠল এবার উত্তর ২৪ পরগণার মধ্যমগ্রামের মা ও ছেলের বিরুদ্ধে। নজীরবিহীন এই ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রীতিমতো কর্পোরেট অফিস খুলে চলছিল মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে প্রতারণা চক্র। অফিসে বসানো ছিল বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কর্মীদের হাজিরার ব্যবস্থা। গ্রেফতার করা হয়েছে মা বাবলি চক্রবর্তী ও ছেলে শুভজিত চক্রবর্তীকে। উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, মোবাইল ও ট্যাব। ধৃতদের বাড়ি মধ্যমগ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৩ নভেম্বর পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বিষ্ণুবাটি গ্রামের বাসিন্দা গৌতম দাসের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে তাঁদের গ্রেফতার করে জামালপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২২ জুলাই টাওয়ার বসানোর নাম করে গৌতম দাসের কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে জামালপুরের বিষ্ণুবাটিতে মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে মোটা টাকার প্রলোভন দেওয়া হয়। কয়েক দফায় মোট ৮৫ হাজার টাকা গৌতম দাসের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়। এরপর প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে গত বছরের ১৩ নভেম্বর গৌতম দাস জামালপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে ফোনের সূত্র ধরে গত শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার মধ্যমগ্রাম থেকে শুভজিৎ চক্রবর্তী ও বাবলি চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে জামালপুর থানার পুলিশ। এরপর তাঁদের পুলিশী হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে প্যাস রিটেলস প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির নামে সোদপুরে অফিস করে সেখান থেকেই রাজ্যজুড়ে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল শুভজিৎ চক্রবর্তী ও বাবলি চক্রবর্তী। এরপরই সোদপুরের অফিসে হানা দেয় জামালপুর থানার পুলিশ। সোদপুরের অফিস থেকে ১৭টি ল্যাপটপ, ৪ টি ডেক্সটপ, ২ টি ট্যাব,৭ টি মোবাইল ফোন, ৫ টি পেন ড্রাইভ সহ বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে। এছাড়াও তদন্তে নেমে পুলিশ বারাসাতে আরও ৩টি অফিসের সন্ধান পায়। কিন্তু সেগুলি তালাবন্ধ থাকায় পুলিশ অফিসগুলি সীল করে দিয়েছে। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে এই চক্রের সঙ্গে কারা কারা জড়িত।