বাল্য বিবাহ রোধে পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রায় ৭০০ স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবকে যুক্ত করার ফলাফল হাতেনাতে মিলল বুধবার বিকালে। কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যদের তৎপরতায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে রুখে দিল কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্য এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার বিকালে। পূর্ব বর্ধমান জেলার কন্যাশ্রী প্রকল্পাধিকারিক শারদ্বতি চৌধুরী এদিন জানিয়েছেন, বর্ধমান শহরের কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে আগামী রবিবার সন্ধ্যায় বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। বিয়ের জন্য সবরকমের প্রস্তুতিও সারা হয়ে হয়ে গিয়েছিল। ওই ছাত্রীর বাবা পেশায় রিক্সা চালক। বাড়ি বর্ধমান শহর লাগোয়া সরাইটিকর গ্রামে। এদিন বিকালে কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়েরে প্রধান শিক্ষক সৌমেন কোণারকে এব্যাপারে জানায় ওই স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের কয়েকজন সদস্য। এরপরই দ্রুততার সঙ্গে ওই প্রধান শিক্ষক আরও কয়েকজন দিদিমণিকে নিয়ে হাজির হন ওই ছাত্রীর বাড়িতে। কম বয়সে বিবাহের কুফল ও কন্যাশ্রী প্রকল্পের বিষয়ে তাঁরা ওই ছাত্রীর বাবা ও মাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। যদিও ওই ছাত্রীর বাবা নিজের স্বপক্ষে দারিদ্র্যতাকেই তুলে ধরেন। যদিও তিনি এদিন এই বিয়ে ভেঙেও দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিয়ের সমস্ত কেনাকাটা হয়ে গেছে। তবে এবার পাত্র পক্ষের সাথে কথা বলে বিয়ে ভেঙে দেব। প্রধান শিক্ষক সৌমেন কোণার জানিয়েছেন, তাঁরা এদিন খবর পেয়েই ওই ছাত্রীর বাবা ও মাকে বুঝিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীকে যথারীতি স্কুলেও পাঠানোর জন্য তাঁরা জানিয়ে এসেছেন। এরপরেও ওই ছাত্রীর বাবা মা জোর করে বিয়ে দিতে চাইলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। এব্যাপারে গোটা বিষয়টি বিডিও-কেও জানানো হয়েছে।

Like Us On Facebook