ডাম্পারের ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যুর পর উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় তিনটি জেসিবি মেশিনেও। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান কাটোয়া রোডের ক্ষেতিয়ায়। খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতের নাম সেখ নুরুল ইসলাম(৬৩)। বাড়ি ভাতারের ধরমপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর প্রায় আড়াইটে নাগাদ ধরমপুরের বাসিন্দা সেখ নুরুল ইসলাম (৬৩) ব্যবসার কাজ সেরে বর্ধমান থেকে মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। ধরমপুর গ্রামেই তাঁর কাপড়ের দোকান রয়েছে। ক্ষেতিয়ার কাছে রাস্তার কাজ চলার জন্য তিনি একটি ডাম্পারের পিছনে দাঁড়িয়ে পড়েন। সেই সময় ডাম্পারটি আচমকাই দ্রুত বেগে পিছনের দিকে চলতে শুরু করায় ডাম্পারটি পিষে দেয় সেখ নুরুল ইসলামকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। আর এই ঘটনার পরই গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বর্ধমান ও ভাতার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘাতক ডাম্পারের চালক দুর্ঘটনার পরই পালিয়ে যায়। ভাতাড় ও বর্ধমান থেকে দুটি দমকলের ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। স্থানীয়দের অভিযোগ অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণের জন্যই ঘটেছে দূর্ঘটনাটি। রাস্তার দুধার জুড়ে প্রায় দু ফুট করে খাল কেটে দেওয়ার ফলে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়াতেই ঘটনাটি ঘটেছে। অন্যদিকে, এই ঘটনার পর পুলিশ গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহল রয়েছে।