২৯ নভেম্বর তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলা সফরে আসছেন। এরইমধ্যে রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতৃত্ব শ্রমিক সংগঠনের কর্মীদের সামনেই চাপানউতোরে জড়িয়ে পড়লে সভা ভেস্তে যায়। এই ঘটনায় পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল বেশ অস্বস্তিতে পড়ল। সভায় উপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দোলা সেন শেষমেশ দুই নেতাকে শান্ত করতে আসরে নামতে হয়।
জানা গেছে, রবিবার অণ্ডাল থানার অন্তর্গত পাণ্ডবেশ্বরের জামবাদ খোলা মুখ খনি এলাকার সামনে রবিবার খনি অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন কেকেএসসি ডাকে ১৯ জানুয়ারির তৃণমূল কংগ্রেসের বিগ্রেড সভার সমর্থনে এক সভার আয়োজন করা হয়। এস সভায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ভি শিবদাসন, আসানসোলের মেয়র তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি, আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেন ও কেকেএসসির সাধারণ সম্পাদক হরেরাম সিং সহ পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কেই আগাগোড়া টার্গেট করে বক্তব্য রাখা শুরু করেন। শিল্পাঞ্চলের একে একে বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ হয়ে পড়ার জন্য জিতেন্দ্র তিওয়ারি বাবুল সুপ্রিয়কেই দায়ি করেন বক্তব্য রাখতে গিয়ে। এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু লোক দলে থেকে দলেরই ক্ষতি করে চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বেরও উষ্কানি দিচ্ছে।মুখে নাম না নিলেও পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরোক্ষে তাঁর বক্তব্যে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকেই টার্গেট কররছেন বলে মনে করেন সভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা। এই নিয়ে মঞ্চে উপস্থিত দুই নেতার মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয় বলে জানা গেছে। শেষমেশ বিতর্ক সামলাতে এগিয়ে আসেন দোলা সেন। এদিকে সভায় উপস্থিত শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা দুই মথারথীর প্রকাশ্য ঝগড়া না শুনে উল্টে কেকেএসসির নেতাদের বক্তব্য শুনতে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। সব মিলিয়ে প্রবল হট্টগোল চেঁচামেচিতে সভা ভণ্ডুল হয়ে যায়।