অন্ডালের একটি পুকুর থেকে এক গৃহবধু ও তাঁর দেড় বছরের শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে বুধবার সকালে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াল। জানা গেছে, মৃত মহিলার নাম রুপালি দাস (৩৩)। স্বামীর নাম সুব্রত দাস। রুপালিদেবীর স্বামী অন্ডালের ডিভিসি পাওয়ার প্ল্যান্টের অস্থায়ী কর্মী। রুপালি দেবীর বাপের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের কুকরাকুন্দ গ্রামে। আর স্বামী সুব্রত দাসের বাড়ি মুর্শিদাবাদে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুপালিদেবীর সঙ্গে সুব্রত দাসের তিন বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়েতে পণ হিসাবে রুপালিদেবীর পরিবার থেকে এক বিঘা জমি দেওয়ার কথা ছিল। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে রুপালিদেবীর বাবা সেই এক বিঘা জমি দিতে পারেননি সুব্রতবাবুকে। তাই বিয়ের পর থেকেই রুপালিদেবীর উপর নির্যাতন চালাতেন সুব্রত দাস বলে অভিযোগ করেন রুপালিদেবীর দাদা সুদীপ দাস। সুদীপবাবুর অভিযোগ, সুব্রত বোন রুপালি এবং ভাগ্নেকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য পুকুরে ফেলে দিয়েছে। অন্ডাল থানার পুলিশ রুপালিদেবীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রুপালিদেবীর স্বামী সুব্রত দাসকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। তবে এটি আদপে খুন নাকি এর পেছনে অন্য কোন রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে অন্ডাল থানার পুলিশ।

Like Us On Facebook