বিষ দিয়ে পোষা পায়রা মেরে ফেলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার মৃত পায়রাগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হল। এদিন প্রাণী সম্পদ ও বিকাশ দফতরের রিজিওনাল ল্যাবরেটরিতে মৃত পায়রাগুলির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ল্যাবরেটরির চিকিৎসক ডা. বাসুদেব ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁরা পরীক্ষা করে দেখবেন কি কারণে পায়রাগুলি মারা গেছে। প্রয়োজনে পাখিগুলির নমুনা কলকাতায় পাঠানো হবে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পর সেই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই রিপোর্ট হাতে আসার পরই পরবর্তী তদন্ত শুরু করা হবে।

উল্লেখ্য, প্রতিবেশীর পোষা পায়রাগুলি বাড়ির ছাদ নোংরা করছে – এই অভিযোগে বিষ দিয়ে একাধিক পায়রা মেরে ফেলার অভিযোগকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর কমলাদিঘি পাড় এলাকায়। বিষ দিয়ে পায়রা মেরে ফেলার বিষয়ে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে। কমলাদিঘি পাড় এলাকার বাসিন্দা শান্তনু দাস জানিয়েছেন, তাঁর নিজস্ব কিছু পোষা পায়রা রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিবেশী নিরুপ কুমার দাসের বাড়ির ছাদেও ওই পায়রাগুলি গিয়ে বসে। শান্তনুবাবু জানিয়েছেন, গত রবিবার দেখতে পাওয়া যায় পায়রাগুলি অসুস্থ। কয়েকটি পায়রা মারাও গেছে। এরপরই খোঁজ খবর নিয়ে দেখা যায় নিরুপ কুমার দাস তাঁর বাড়ির ছাদে বিষ দিয়ে রেখেছিলেন। সেই বিষ খেয়েই পাখিগুলি মারা গেছে। শান্তনুবাবু জানিয়েছেন, তিনি বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধমানের পশুপ্রেমী সংগঠন ভয়েস ফর ভয়েসলেসের সম্পাদক অভিজিত মুখার্জী জানিয়েছেন, এভাবে নির্বিচারে পাখিদের মেরে দেওয়ার ঘটনাকে তাঁরা কিছুতেই বরদাস্ত করবেন না। এব্যাপারে তাঁরা আইন মোতাবেক সমস্তরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

Like Us On Facebook