মেমারির পাত্রাগ্রামে বেহুলা নদী থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মৃতের নাম রাজা মালিক (২০)। পেশায় বয়লার মিস্ত্রী। সে বীরভুমে একটি রাইস মিলে কাজ করত। রবিবার রাত্রে গ্রামবাসীরা বেহুলা নদীর ধার থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মেমারি ২নং ব্লক হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

প্রাথমিকভাবে অনুমান হাত-পা বেঁধে তাকে নদীর পাড়ে ফেলে দেবার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, সম্প্রতি জিত নামে রাজার এক আত্মীয় পাত্রা গ্রামে আসেন। তিনি পেশায় একজন তান্ত্রিক। রাজাকে দেখে তিনি তার ফাঁড়া আছে বলে জানান। ফাঁড়া কাটাতে কদিন
আগে সুতলির দড়ি, পাটের দড়ি, ধূপ, ধূনা, সিঁদুর প্রভৃতি নিয়েও আসেন। পরে তিনি জানান, রাজার ফাঁড়া কেটে গেছে। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, সোমবারই রাজার বীরভূমের মিলে ফিরে যাবার কথা ছিল। সেজন্য রবিবার সন্ধ্যায় সে গ্রামেই মামার বাড়িতে দেখা করতে যাবার নাম করে বার হয়। কিন্তু রাতেও না বাড়ি ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেহুলা নদীর পাড়ে জীতের জুতোও পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। এরপর জীতের দেখানো জায়গা থেকেই রাজার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় পুলিশ জিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তবে কি উদ্দেশ্যে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে পুলিশও ধন্দে। পারিবারিক কোন বিবাদের জেরেই তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে মেমারি থানার পুলিশ। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দড়ি দিয়ে হাত পা বাঁধার কোনো প্রমাণ তাঁরা পাননি। কারণ উদ্ধার হওয়ার পর গ্রামবাসীরাই রাজাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন।

Like Us On Facebook