এবার নীলতিমি বা ব্লু হোয়েলের থাবা পূর্ব বর্ধমানে। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের কলাবিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ব্লু হোয়েলের খপ্পরে পড়ে। বুধবার কলেজের ক্লাসের মধ্যেই ছাত্রটি কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং কলেজের এক অধ্যাপিকার কাছে গেম খেলার কথা স্বীকার করে। গত মাসের ৬ তারিখে ছাত্রটির মোবাইলে এসএমএস আসে যেখানে জানানো হয় যে সে মোটা অঙ্কের টাকা জিতেছে। সেই টাকা পাওয়ার জন্য এসএমএসের নির্দেশ মত তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্ট ও আধার কার্ডের নম্বর সে দেয়। তার কাছে ডিএএম নামে একটা অ্যাপ আসে। তারপর তার মোবাইলে বেশ কিছু কঠিন কাজের নির্দেশ আসে। হাত কাটারও নির্দেশ এসেছিল মোবাইলে। সে রাজী না হওয়ায় রাস্তায় গাড়ির সঙ্গে দ্রুত ছুটে তা মোবাইলে ছবি তুলে পাঠাতে বলা হয় এবং ১.৩০ মিনিট সাঁতার কেটে ছবি পাঠাতে বলা হয়। পাশাপাশি তাকে বলা হয় উঁচু গাছে চেপে বাদুরের মত ঝুলে মোবাইলে ছবি তুলে পাঠাতে। ওই ছাত্রটি ১৩ নম্বর লেভেল পর্যন্ত পৌঁছেছিলো খেলাটির। এরপরেই সে ভুল বুঝতে পেরে অ্যাডমিনদের নির্দেশমতো কাজ করতে অস্বীকার করে। তারপর রীতিমত তার মোবাইলে নির্দেশ আসে তাদের নির্দেশ মত কাজ না করলে পরিবারের লোকজনকে মেরে ফেলা হবে। পর পর এই সব ঘটনায় কলেজ পড়ুয়া ছেলেটি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এদিন কলেজের ক্লাস রুমে তাকে শিক্ষিকা পড়া ধরলে সে বলতে না পারায় শিক্ষিকা পড়া বলতে না পারার কারণ জিজ্ঞাসা করায় সে কান্নায় ভেঙে পড়ে সব জানায়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ যায়। শুরু হয় তার কাউন্সেলিং।আপাতত তাকে বননবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে, কালনার কৃষ্ণদেবপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র শোভন পাল। সাইবার ক্যাফেতেই সে এই ব্লু হোয়েল গেম সম্পর্কে আসক্ত হয়। সেখানেই সে শুরু করে এই গেম খেলা। কয়েক ধাপ খেলার পর হাত কেটে তিমি আঁকার নির্দেশ আসে। সে হাত কেটে তিমি আঁকে। আর তা নজরে পড়তেই বাড়ির বাবা মারধর করে। বাবাই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানায় বিষটি। স্কুল এসআই কে জানায়। খবর যায় কালনা মহকুমা শাসকের কাছেও। শুরু হয়েছে কাউন্সিলিং।

এই ভয়ঙ্কর গেম নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও আপলোড করেছে। এই সুইসাইড গেম নিয়ে তথ্যপূর্ণ সেই ভিডিওটি দেখুন…

Like Us On Facebook