বিরোধী শূন্য দুর্গাপুর পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ড থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের পূর্বেই জয়লাভ করল তৃনমুল কংগ্রেস প্রার্থী মধুসূদন মন্ডল। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস প্রার্থী রেহানা বরকি ও বিজেপি প্রার্থী অলক কুমার সাউ উভয়েই প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নেন। বামফ্রন্ট এই ওয়ার্ডে কোন প্রার্থী দেয় নি। ফলে, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মধুসূদন মন্ডল ভোট গ্রহণের পূর্বেই কার্যত ফাঁকা মাঠে গোল দেন। ১৭ নং ওয়ার্ডে মধুসূদনবাবুর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় প্রসঙ্গে বিরোধীরা বলেন, ‘গণতন্ত্রের নামে এটা প্রহসন। হুমকি দিয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়েছে ।’

কংগ্রেসের দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘শাসকদলের নেতাদের দুর্গাপুরের মানুষের উপর আর আস্থা নেয়। নির্বাচনে লড়াই না করে তাই গুন্ডা এনে বিরোধীদের প্রাণের ভয় দেখিয়ে, বাড়ীর সদস্যদের কিডন্যাপ করার হুমকি দিয়ে বিরোধীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করানো হল। দেবেশ বাবু এই জয় গনতন্ত্রের একটা বিপদজনক অধ্যায় শুরু করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বলে কটাক্ষ করেন। একই অভিযোগ বিজেপি ও বামফ্রন্টের।

এদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে ১৭ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। বিজয়ী প্রার্থী মধুসূদন মন্ডলকে বৃহস্পতিবারই দুর্গাপুর পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার তথা দুর্গাপুর মহকুমা শাসক শঙ্খ সাঁতরা নির্বাচনে জয়ের শংসাপত্র দেন। মধুসূদন মন্ডল বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে এই জয়কে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের জয় বলে উৎসর্গ করে বলেন, ‘১৭ নং ওয়ার্ডে সকলেই আমাকে ভাল বাসেন। তাই বিরোধীরা আমার বিরুদ্ধে লড়তে চাইল না।’ নির্বাচনের পূর্বেই পৌরসভার একটি আসনে জয় পেয়ে যাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা উৎসবের মেজাজে মেতে উঠেন।

Like Us On Facebook