বুধবার সকালে বর্ধমানের রথতলা এলাকায় জাতীয় সড়কে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ২ শিশু সহ ৭ জনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আজ সকাল ৯টা নাগাদ একটি মারুতি গাড়ি ও একটি গরম পিচভর্তি ট্যাঙ্কার দুর্গাপুর অভিমুখে যাচ্ছিল। জাতীয় সড়কের রথতলা এলাকায় মারুতি গাড়িটি ট্যাঙ্কারটিকে বাঁদিক দিয়ে ওভারটেক করছিল। সেই সময় অন্য একটি গাড়ি ট্যাঙ্কারের খুব কাছাকাছি চলে আসায়, ট্যাঙ্কারটি সেই গাড়িটিকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় মারুতি গাড়িটির উপর। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে গরম পিচ। মারুতি গাড়ির ভিতর থেকে শিশুদের আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষজন। কিন্তু গরম পিচ চারিদিকে ছড়িয়ে থাকায় উদ্ধার কাজ ব্যহত হয়। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে পুলিশ এবং দমকল বাহিনী ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর ক্রেন এনে উদ্ধার করা হয় গাড়িতে আটকে পড়া যাত্রীদের। তাঁদের বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় জাতীয় সড়কে।

পুলিশ সূত্রে পথ দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিচয় জানা গেল। রাজেন কুমার সিং(৪২), রাজেনের স্ত্রী রেশমি সিং(৩৩), দুই কন্যা রিয়া (১৩), অন্বেষা (৮), পুত্র অর্ভ সিং (৬), বাবা শেষনাথ সিং (৬০), মা নির্মলা সিং (৫৮)। রাজেন হাওড়ার আরপিএফ ইন্সপেক্টর। বাড়ি গোলমহর কলোনী হাওড়া। রাজেনের বাবা অবসরপ্রাপ্ত আরপিএফ অফিসার। রাজেনের বাবা নতুন গাড়ি কিনেছিলেন কয়েকদিন আগে। আজ সকালে পরিবারের সকলকে নিয়ে হাওড়া থেকে পাটনার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পাটনা যাবার পথে বর্ধমানের রথতলার কাছে এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একটি কিলার ট্যাঙ্কার একই পরিবারের সাত সদস্যের প্রাণ কেড়ে নিল।

Like Us On Facebook