দীর্ঘ ছ’ঘন্টা জেরার পর গ্রেফতার অন্নপূর্ণা নার্সিংহোমের মালিক অনিমেষ মল্লিক ও ম্যানেজার শেখ রউল ইসলাম। টানা জেরাতে অসুস্থ আরও এক মালিক শেখ নজরুল। রাত আড়াইটার সময় ধৃতদের নিয়ে কলকাতা রওনা দিল পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ।

বীরভূমের মাধ্যমিক ছাত্র অরিজিত দাসের মৃত্যুর ঘটনায় পুর্ব যাদবপুর থানার ৪ পুলিশ কর্তা শনিবার সন্ধ্যায় তদন্তের জন্য বর্ধমানের অন্নপূর্ণা নার্সিংহোমে আসেন। সঙ্গে নিয়ে আসা হয় অ্যাম্বুলেন্সে ডাক্তার পরিচয়ে যাওয়া এসি মেকানিক সরফরাজউদ্দিনকে। নার্সিংহোমের সমস্ত নথি তাঁরা খুঁটিয়ে দেখেন। জানা গেছে, পুলিশ নার্সিংহোমের সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছে। এছাড়াও রোগী-নার্সিংহোম-অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে যোগাযোগকারী একজন দালালকে খুঁজছে পুলিশ। এদিন এসি মেকানিককে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বীরভূমের রামপুরহাট হাসপাতাল থেকে মাধ্যমিক ছাত্র অরিজিত দাসকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমানে। এরপর তাকে বর্ধমানের অন্নপূর্ণা নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয় বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ। সেখানে তাঁর রক্ত সহ কয়েকটি পরীক্ষা করান চিকিৎসক। কিন্তু পরিস্থিতি দেখেই তিনি অরিজিতকে কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে অরিজিতের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা তীব্রতর হওয়ায় তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আইসিসিইউ সুবিধাযুক্ত (ভেন্টিলেশনের সুবিধা) অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোম থেকে অরিজিতকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৬ হাজার টাকায় ভাড়া করে দেওয়া আইসিসিইউ সুবিধাযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স। সেই অ্যাম্বুলেন্সে ডাক্তারের বদলে একজন এসি মেকানিককে ডাক্তার সাজিয়ে পাঠানো হয়। পথে ভেন্টিলেশনের সুবিধা না পেয়ে মৃত্যু হয় অরিজিতের। কলকাতায় গিয়ে ডাক্তার বলে অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়া ব্যক্তির সঠিক পরিচয় জানতে পেরে পরিবারের পক্ষ থেকে পুর্ব যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও এসি মেকানিককে গ্রেফতার করে।

Like Us On Facebook