প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার খোদ রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তর আলাদা সেল তৈরি করার চিন্তাভাবনা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে জেলায় জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত কারণে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার জন্যই এব্যাপারে পৃথকভাবে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে গেলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি জানান, গোটা রাজ্য জুড়ে ইলেকট্রিকের লো-ভোল্টেজ কমানো এবং প্রত্যেকের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় নতুন করে ১৫টি সাব ষ্টেশন তৈরী হচ্ছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের কল সেন্টারগুলিকে আরও সক্রিয় হবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে গেলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার বর্ধমানের বিডিএ হলে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক আধিকারিক সহ বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। পরে সাংবাদিক বৈঠকে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ দপ্তরের ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য কল সেন্টার চালু হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ আসছে কল সেন্টারগুলি গ্রাহকদের সঙ্গে ঠিকভাবে যোগাযোগ করছে না। এব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। একইসঙ্গে এদিনই বিদ্যুৎ দপ্তরের জেলা আধিকারিকদের স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই ধরণের অভিযোগ উঠলে সরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে।

প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছেন, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এপিএল এবং বিপিএলে পরিবারভুক্তদের বিদ্যুৎ দেওয়ার কাজ ১০০ শতাংশই সম্পূর্ণ হয়েছে। গত জানুয়ারি মাস পর্যন্ত জেলার ৬৭টি সাব ষ্টেশন নিয়ে সমস্যা ছিল তার মধ্যে ১২টি বাদে বাকি সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া গেছে। এদিন কাটোয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার এনটিপিসিকে জমি দিয়েছে। বাকি জমি তাদের কিনে নেওয়ার কথা ছিল। তারই মাঝে কয়েকজন আধিকারিকের বদলিতে কাজ ঢিলে হয়ে যায়। এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের মুখ্যসচীব দিল্লির সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা সহ গোটা রাজ্যেই খোলা বিদ্যুৎবাহী তারের পরিবর্তে কেবল তার লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। এরই মাঝে নবদ্বীপ ও বোলপুরে আন্ডারগ্রাউণ্ড কেবল বসানোর পরীক্ষামূলক কাজ শেষ হয়েছে।

Like Us On Facebook