কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া বন্‌ধে স্বাভাবিক রইল পূর্ব বর্ধমান জেলার জনজীবন। রোজকার মত বাস, ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, যানবাহন স্বাভাবিক রয়েছে।

বন্‌ধের সমর্থনে সকালে বর্ধমান শহরে সিটুর পক্ষ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিল থেকে জোরপূর্বক বেশ কয়েকটি দোকান বন্ধ করে দেয় বন্‌ধ সমর্থনকারীরা বলে অভিযোগ। এরপর বর্ধমানের কার্জনগেট অবরোধ করতে এলে পুলিশ অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। চার জন বন্‌ধ সমর্থনকারীকে কার্জনগেট চত্ত্বর থেকে আটক করে পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদর অঞ্চলের সগড়াই মোড়ে বন্‌ধ সমর্থনকারীরা অবরোধ করতে গেলে পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এছাড়াও ব্যান্ডেল-কাটোয়া এবং বর্ধমান-হাওড়া রুটের বিভিন্ন জায়গায় বন্‌ধ সমর্থনকারীরা রেল অবরোধের চেষ্টা করে। রেল পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

বর্ধমান মুখ্য ডাকঘরে এদিন অধিকাংশ বামপন্থী কর্মী না আসায় আর্থিক লেনদেন প্রায় বন্ধ। চরম সমস্যায় পড়েন আমানতকারীরা। দুর্ভোগ পোহাতে হল সিনিয়র সিটিজেনদের। ট্রেজারির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মীরা না আসায় লেনদেন করা যাচ্ছে না বলে জানান পোস্ট মাস্টার। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গলিগ্রামে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে খড়ে আগুন জ্বেলে অবরোধ করেন বন্‌ধ সমর্থকরা। ফলে জাতীয় সড়কে কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্ধমানের পালশিটে রেল ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বন্‌ধ সমর্থকরা।



Like Us On Facebook