মঙ্গলবার বর্ধমান রাজ কলেজের অধ্যক্ষ ও এক আধ্যাপককে কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একদল সদস্যের যে ব্যবহারের শিকার হতে হল তা কার্যতই নজিরবিহীন। বর্ধমান থানার পুলিশ কলেজে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কয়েক মাস আগে কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যে ঘটনা ঘটেছিল তার বদলা নিতেই এদিনের বিক্ষোভ আন্দোলন বলে মনে করছেন রাজ কলেজের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। যা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। জানা গেছে, পরীক্ষা চলাকালীন কলেজের জিএস পরীক্ষার হলে রাউন্ড দিচ্ছিলেন। অধ্যক্ষ ডঃ নিরঞ্জন মণ্ডল জিএস সহ ১৪ জনের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ, মাস পাঁচেক আগের সেই ঘটনার ক্ষোভই এদিন অধ্যক্ষের ঘরে উগরে দিলো কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই সদস্যরা।

কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরাজ ঘোষ এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করেছেন। পাল্টা অভিযোগে সুরাজ ঘোষ জানিয়েছেন, অধ্যক্ষ কলেজের ছাত্র সংসদ মানছেন না। গার্লস হস্টেলে চুরি হচ্ছে। কোন অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসের গাছ বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। মহিলাদের বাথরুমে ও কমন রুমে উঁকি মারেন এক অধ্যাপক। দিনের পর দিন এসব অাপত্তিকর কাজ কারবার চলছে। অধ্যাপককে জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। এইসব সমস্যার বিষয়গুলি এদিন অধ্যক্ষের কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে কলেজের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন।

ছাত্র নেতাদের তোলা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অধ্যক্ষ ডঃ নিরঞ্জন মণ্ডল। তিনি বলেন, এদিন পড়ুয়াদের কাছ থেকে যে ব্যবহার পেলাম তা সামাজিক অবক্ষয়েরই বহিঃপ্রকাশ।

Like Us On Facebook