মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গলসি থানার শাঁকড়াই গ্রামের স্কুলছাত্রী শাবানা ইয়াসমিনের(১৭) খুনের কিনারা করল গলসি থানার পুলিশ। ধৃত গদাই শেখ নামে এক যুবক। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই শ্বাসরোধ করে খুন করে শাবানার দেহ পাশের ধান জমিতে ফেলে দেয় গদাই। এমনটাই স্বীকার করেছে গদাই বলে দাবি পুলিশের। পাশাপাশি অভিযুক্ত ধর্ষণের কথাও স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের।

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে দেড় কিমি দূরে রাস্তার ধারে ঝোপের পিছনে ধান জমি থেকে উদ্ধার হয় স্কুলছাত্রী শাবানার দেহ। ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে টিউশন পড়তে বেড়িয়ে গলসির কিশোরকোণা উচ্চবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী শাবানা নিখোঁজ হয়ে যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৭ তারিখ টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে ধৃত গদাই শাবানাকে রাস্তায় আটকায় এবং প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। শাবানা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে গদাইকে চড় ও জুতো দিয়ে মারে। এর পরেই গদাই তাকে গলায় গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে পাশের ধান জমিতে ফেলে দেয়। এমনকি পুলিশি জেরায় ধর্ষণের কথা জানায় অভিযুক্ত। ২৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ তার দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রীর সাইকেল, স্কুল ব্যাগ, জুতো উদ্ধার হলেও মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায় নি। মোবাইল ফোনটি ঘটনার পর থেকেই বন্ধ ছিল। ২০ মার্চ মোবাইল ফোনটি সুইচ অন করা হয়। এরপরই মোবাইলের লোকেশন ডিটেক্ট করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ধৃত গদাই শেখ
Like Us On Facebook