গাড়ি থেকে নামিয়ে চালককে মারধর করে লোহার পাত বোঝাই ট্রেলার হাইজ্যাক করে পালানোর চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। পুলিশের তাড়ায় দুষ্কৃতীরা রাস্তায় হাইজ্যাক করা লোহার পাত বোঝাই ট্রেলারটিকে ফেলে চম্পট দেয়। দুষ্কৃতীদের মারে মৃত্যু হয় ট্রেলারের চালক পিন্টু যাদবের। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের মশাগ্রামের কাছে।

লোহার পাত নিয়ে যাওয়ার জন্য হাওড়ার শালিমার থেকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারী কারখানায় আসে ট্রেলারেটি। সোমবার ট্রেলারে লোহার পাত বোঝাই করা হয়। দুপুরে তিন যুবক কারখানায় বাবলু নামে এক চালকের খোঁজে যায়। ওখানেই ট্রেলারের চালক পিন্টু যাদবের সঙ্গে বাবলুর বিষয়ে আলোচনা হয়। পিন্টু তিন যুবককে জানায় শালিমারে গেলে বাবলুকে পাওয়া যাবে। এরপর তিন যুবক পিন্টুকে বলে তার গাড়িতেই তারা শালিমার যাবে। সন্ধ্যায় দুর্গাপুর থেকে গাড়ি ছাড়লে কথামত তিন যুবকও ট্রেলারে উঠে পড়ে। এরপর মশাগ্রামে গাড়ি থামিয়ে তিন যুবকের মধ্যে এক জন হোটেলে খেতে যায়। সঙ্গে যায় ট্রেলারের খালাসি বিশ্বকর্মা যাদব। সে সম্পর্কে পিন্টুর ভাই। ট্রেলারে থাকে চালক পিন্টু ও দুই যুবক। হোটেল থেকে ফিরে গিয়ে গাড়িতে চেপে বিশ্বকর্মা দেখে দাদা নেই। ততক্ষণে এক দুষ্কুতী গাড়ির চালকের আসনে বসে স্টার্ট দিয়েছে। দাদাকে দেখতে না পেয়ে বিশ্বকর্মা চলন্ত ট্রেলার থেকে ঝাঁপ দেয় ও চিৎকার শুরু করে। রাস্তার ধারে ড্রেনে পড়ে থাকতে দেখে দাদাকে। ততক্ষণে তার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পুলিশ ধাওয়া করলে বেগতিক বুঝে দুষ্কৃতীরা হাইজ্যাক করা ট্রেলারটিকে আঝাপুর থেকে মেমারির রাস্তা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বিশাল ট্রেলারটি ছোট রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় দেখে দুষ্কৃতীরা গাড়ি থেকে নেমে চম্পট দেয়। পুলিশ গুরুতর জখম চালক পিন্টু যাদবকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।

Like Us On Facebook